নিজস্ব প্রতিনিধি :শনিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শাহবাগে ‘ইসলামী সমাজ’ কর্তৃক আয়োজিত ত্বাগুতী ব্যবস্থা বিরোধী জনসমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন- মানুষের প্রয়োজন ও কল্যাণেই সমাজ ও রাষ্ট্র। সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল বিষয় সার্বভৌমত্ব। সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রের মালিকানা এবং আইন-বিধান প্রণয়ন ও প্রয়োগের সর্বোচ্চ ক্ষমতা। গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও শাসন- কর্তৃত্ব এবং দাসত্ব ও আইনের আনুগত্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষের। সুতরাং, মানব রচিত সকল ব্যবস্থাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ শাসন-কর্তৃত্ব এবং আইন-বিধানের আনুগত্যের সীমালঙ্ঘনকারী ব্যবস্থা- ত্বাগুতী ব্যবস্থা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষ কোন না কোন ত্বাগুতী ব্যবস্থার অধীনে বন্দি হয়ে মহা বিপর্যয়ের মুখোমুখী অবস্থান করছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাগত হওয়া হাজার হাজার নারী-পুরুষসহ দেশ ও বিশ্বাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশ ও জাতির মানুষ ত্বাগুতী ব্যবস্থা গণতন্ত্র ও গণতেন্ত্রর ভিত্তিতে রচিত আলকুরআন বিরোধী সংবিধান মেনে চলার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে রব ও ইলাহ্ গ্রহণ করে মহান রবের সাথে কুফর এবং শিরকে লিপ্ত হয়ে তাঁরই ভয়াবহ আযাব-গজবের মুখোমুখী অবস্থান করছে এবং তাদের আখিরাতের জীবনও ধ্বংস হচ্ছে। আযাব-গজব এবং আখিরাতে ধ্বংস থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হচ্ছে ইসলাম এবং আলকুরআন’ই মানব জাতির জন্য একমাত্র কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ সংবিধান । ‘ইসলামী সমাজ’ ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চল-২ এর সহকারী দায়িত্বশীল, আকিক হাবিবুজ্জামানের সভাপতিত্বে “সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে ত্বাগুতী ব্যবস্থা ও আলকুরআন বিরোধী সংবিধান মূলোৎপাটন করে আলকুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার উপায় এবং এ লক্ষ্যে মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনে”- অনুষ্ঠিত ত্বাগুতী ব্যবস্থা বিরোধী জনসমাবেশে সংগঠনের আমীর সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ত্বাগুতী ব্যবস্থা গণতন্ত্রের ভিত্তিতে রচিত আলকুরআন বিরোধী সংবিধানের মূলোৎপাটন করে আলকুরআনের আইন-বিধান দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত এবং পরিচালিত হলে সকল মানুষের সকল ন্যায্য অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ হবে, সকল ধর্মের লোক শান্তিপূর্ণভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে পারবে এবং জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত হবে। তিনি বলেন, যারা আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে আলকুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকবে তারা আল্লাহর ক্ষমা লাভ করে জান্নাতবাসী হবে। ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন কিংবা সশস্ত্র লড়াই নয়! ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে ঈমানদারগণের সমাজ তথা ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলন’ই ত্বাগুতী ব্যবস্থা ও আলকুরআন বিরোধী সংবিধানের মূলোৎপাটন করে আলকুরআনের আইন- বিধান প্রতিষ্ঠায় ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) প্রদর্শিত একমাত্র পদ্ধতি। ‘ইসলামী সমাজ’ আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার ত্বাগুতী ব্যবস্থা ও আলকুরআন বিরোধী সংবিধান মূলোৎপাটন করে মানুষের জীবনে আলকুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দল-মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে কল্যাণ ও মুক্তির পথে জীবন, সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ার ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান। ‘ইসলামী সমাজ’ ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বশীল, সোলায়মান কবীরের সঞ্চালনায়- জনসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় দায়িত্বশীল- জনাব মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, মুহাম্মাদ ইয়াছিন, আমীর হোসাইন, আজমুল হক, আসাদুজ্জামান বুলবুল, মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ্, মোঃ সেলিম মোল্লা, আবু শামাহ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের দায়িত্বশীল- মিনহাজ উদ্দিন, মোঃ সোহেল এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সহকারী দায়িত্বশীল- আবু জাফর মুহাম্মাদ সালেহ ও মোস্তফা জামিল সাদ প্রমুখ ।

