রুপসীবাংলা৭১ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক : ফুসফুস ক্যান্সার একটি গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ
অনবরত কাশি: যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত কাশি হয় এবং তা বাড়তে থাকে, তবে এটি একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। কাশির সঙ্গে কফ বা থুতুতে রক্ত গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শ্বাসকষ্ট: অল্প পরিশ্রমে বা স্বাভাবিক হাঁটাচলায় শ্বাসকষ্ট অনুভব করা এ রোগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। বুকে ব্যথা: ক্রমাগত বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি, বিশেষ করে কাশি বা গভীর শ্বাস নেওয়ার সময় ব্যথা বেড়ে যাওয়া ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
ওজন হ্রাস ও ক্লান্তি: অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরও ক্লান্তি অনুভূত হওয়া ফুসফুস ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণ।
ক্ষুধামান্দ্য: খাবার খেতে অনীহা বা রুচি কমে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।
করণীয় ও প্রতিরোধ
ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য ইমেজিং স্ক্যান, বায়োপসি এবং রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। রোগ নির্ণয়ের পর সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশনথেরাপি অথবা এগুলোর সমন্বিত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়।
এ সময় রোগীর মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার-পরিজনের উচিত রোগীর সঙ্গে সহানুভূতিশীল ব্যবহার করা এবং মনোবল দেওয়া। ধূমপান পুরোপুরি পরিহার করতে হবে। ধূমপায়ীদের থেকে দূরে থাকা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকার মাধ্যমে ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লেখক : সিনিয়র কনসালট্যান্ট-ক্লিনিক্যাল ও রেডিয়েশন অনকোলজি, কোঅর্ডিনেটর-রেডিয়েশন অনকোলজি, এভারকেয়ার হসপিটাল, ঢাকা।

