নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাঙামাটি জেলার সাজেক ইউনিয়নের উজোবাজার এলাকায় স্থানীয় জনগণের উদ্যোগে ’সাজেক কলেজ’ নির্মাণে বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসনের অযৌক্তিক বাধা নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী, গণবিরোধী ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
আজ রবিবার (১৫ জুন ২০২৫) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, গত শুক্রবার (১৩ জুন ২০২৫) বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে গিয়ে ইউপি সদস্য ও বাঘাইহাট বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করেন এবং এক মাসের জন্য কলেজের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার ও নির্মাণাধীন কলেজের জমিতে বনবিভাগের সাইনবোর্ড লাগানোর নির্দেশ দেন।
প্রশাসনের উক্ত গণবিরোধী সিদ্ধান্তকে সাজেকের জনগণকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করে নেতৃদ্বয় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বন ও পরিবেশ ধ্বংস করে যত্রতত্র রাস্তাঘাট, সেনা ক্যাম্প ও পর্যটন স্থাপনা, পাহাড়ি অধ্যুষিত সাজেকে শতকোটি টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল মসজিদ নির্মাণ করতে প্রশাসন ও বন বিভাগের কোন বাধা নেই, অথচ শিক্ষার আলো ছড়াতে লোকালয়ে কলেজ নির্মাণে বাধা কেন তা আমাদের বোধ্যগম্য নয়।
যেখানে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা সরকারের দায়িত্ব, সেখানে জনগণ নিজেরা এগিয়ে এসে সংঘবদ্ধভাবে সাজেক কলেজ স্থাপন করতে চাইলে তাতে সহযোগিতা দেয়ার পরিবর্তে বাধা দেয়া কেবল অযৌক্তিক নয়, তা দুরভিসন্ধিমূলক ও চরম বৈষম্যমূলক বলে পিসিপি নেতৃদ্বয় মন্তব্য করেন।
নেতৃদ্বয়, সাজেক কলেজকে সাজেকের অর্ধলক্ষ জনগণের স্বপ্ন বলে বর্ণনা করেন এবং অবিলম্বে উক্ত কলেজ নির্মাণে প্রশাসনের বাধা দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান।