মঞ্জুর: সম্পত্তি জবরদখল ও বসতবাড়ীর ঘর-দরজা ভাংচুর ও লোকজনকে মারধর করার প্রতিবাদে গতকাল ২৬ জুন ২০২৪, বুধবার, সকাল ১০টা জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তভোগী মোঃ তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, আমার ২০১৭ইং সালের ক্রয়কৃত জমির মালিকগণ জমি নিয়ে পঞ্চগড় জেলা জজ কোর্টে দীর্ঘদিন মামলাটি বিচারাধীন থাকে। মামলা নং ১৬/১০। জেলা সহকারী জজ আদালত পঞ্চগড় মামলাটির রায়ের আদেশ নং-১৪, তাং- ১০/০৭/২০১১ সালে ঘোষণা করেন । জমির মালিক মনসুর গংদের জেলা নাজির সাহেদ ও জারী কারক মোঃ হাসিবুল ইসলামের মাধ্যমে, সার্ভেয়ার দ্বারা মাপজোপ ও সীমানা নির্ধারণ করে লাল সালু কাপড় টানিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে মনসুর রহমান গংদের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী খরচের বাবদ সরকারি ৪,১১৮ টাকা ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে নিয়ে ৫.৯৭ একর জমি ২০১১ইং সালে বুঝাইয়া দেয়। মনসুর গং ভোগদখলে থাকিয়া তার মধ্য থেকে ৩.৮৬ একর সম্পত্তি এবং তার পাশ্ববর্তী জমির মালিক আনিসুর রহমানের দখলীয় ২.৬২ একর হইতে ২.১৪ একর জমি ক্রয় করিয়া দলিল নং ৩৪৮২ মুলে তারিখ ১৬/০৮/২০১৭ইং সালে মোট ৬ একর জমির মালিক হই । সম্পত্তি ক্রয় করার পর হতেই স্থানীয় পঞ্চগড়-২ আসনের এমপি এ্যাড. মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন সাহেবের এর নেতৃত্বে তার ভাতিজা ফেরদৌস ওয়াহিদ (লাবন্য) এর সন্ত্রাসী বাহিনীসহ আসামীগণ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আমাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ ভোগদখলকৃত জমি জবরদখলের পায়তাড়া করে আসছে। বিষয়টি একাধিকবার এমপি মহোদয়কে জানাই, এমপি মহোদয় আমাকে বলে থাকেন, আমার এলাকায় জমি ক্রয় করার সময় কি আমাকে বা আমার লোকজনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন ? আমি তার বক্তব্য শুনে নিরুপায় হয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের বরাবরে ও সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপার এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি করি । আমার ক্রয়কৃত জমিতে ৬জন কর্মচারী থাকা ঘর-বাড়ীতে নিয়মিত বসবাস করে জমিতে চাষাবাদ করতে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মোঃ রাজু ইসলাম, মোঃ আনিসুর রহমান, সামসুল হক প্রমুখ। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতারসহ সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানান।