নিজস্ব প্রতিনিধি : রংপুরের তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা বাণী রায়, মৎস্য ব্যবসায়ী উৎপল সরকার, স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রানোতোষ কর্মকার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন, জমি দখল, চাঁদাবাজীর প্রতিবাদে, দোধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এবং সংখ্যালঘু সংম্প্রদায়ের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃ প্রতিষ্ঠার দাবীতে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট আজ সকাল ১০.০০ টায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
মানববন্ধন শেষে হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডঃ দীনবন্ধু রায় এর সভাপতিত্বে এক পথ সভার বক্তব্য রাখেন নির্বাহী সভাপতি অ্যাডঃ প্রদীপ কুমার পাল, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, মহাসচিব অ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডাঃ হেমন্ত দাস, নকুল কুমার মণ্ডল, সঞ্জয় ফলিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোর বর্মন, হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি মধু, সাধারণ সম্পাদক সুজন গাইন, সাংগঠণিক সম্পাদক সঞ্জয় দেবনাথ, ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজিব কুন্ডু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাণীব্রত মাহা, কোষাধ্যক্ষ পল্লব দাস, দপ্তর সম্পাদক সজিব দাস, গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক শুভজিৎ চক্রবর্তী, ঢাকা মহানগর

মক্ষিনের সদস্য সচিব নূপুর বসাক, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক অণু রায়, সবুজ দত্ত, ইমন তরু প্রমূখ। বক্তাগণ বলেন শেখ হাসিনার সরকার ১৭ বছরে বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দুদের উপর পরিকল্পিত হামলা করে। শত শত হিন্দু পরিবার গৃহহারা হন। হাজার হাজার হিন্দু দেশ্যাত্যাগে বাধ্য হন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হিন্দু সম্প্রদায় আশা করেছিলো ফ্যাসিবাদের বিদায়ে হিন্দু সম্প্রদায় স্বস্তি পাবে, নির্যাতন হবে না। সকল প্রকার বৈষম্য দূর হবে। কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের সে আশা নিরাশায় পরিনত হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিটি, নির্বাচন সংস্কার কমিটি সহ বহু সংখ্যক সংস্কার কমিটি হয়েছে। অথচ সর্ব ক্ষেত্রেই হিন্দু সম্প্রদায়কে উপেক্ষা করা হয়েছে। এমন কি হিন্দু সম্প্রদায়ের মতামতও গ্রহণ করা হয় নাই। উপদেষ্টা পরিষদে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন প্রতিনিধিত্ব নাই। ইতিমধ্যে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে। অবস্থা। দৃষ্টে দেখা যাচ্ছে সরকার ও সকল দল ইচ্ছাকৃতভাবে আগামী সংসদ হিন্দু জন্য রাখবে।
রংপুরের তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী সুবর্ণা রাণী রায়, মৎস্য ব্যবসায়ী উৎপল সরকার, স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রানোতোষ কর্মকার খুন সহ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন, জমি দখল, নিরব চাঁদাবাজী হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায় শান্তিতে নাই ও আতঙ্কগ্রন্থ অবস্থায় জীবন যাপন করছে। বক্তাগণ মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী সুবর্ণা রাণী রায়, মৎস্য ব্যবসায়ী উৎপল সরকার, স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রানতোষ কর্মকার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
একই সাথে জাতীয় সংসদ সহ সর্বক্ষেত্রে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন বাবস্থা পূনঃ প্রতিষ্ঠার দাবী জানান। অন্যথায় হিন্দু সম্প্রদায় ভোট বর্জনের মত কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

