রুপসীবাংলা প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে একটি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা মাহিন সরকার। এরপর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে এনসিপির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নির্দেশে মাহিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দফতর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে মাহিন সরকারকে তার পদ ও দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার থেকে এই বহিষ্কারাদেশ কার্যকর এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে বলেও সেখানে জানানো হয়।
জানা গেছে, এনসিপি থেকে নিষেধ করার পরেও স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন খালিদের সঙ্গে ডাকসু নির্বাচনে প্যানেল দিয়েছেন মাহিন সরকার।
বহিষ্কারাদেশের পর মাহিন সরকার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সোমবার মধ্যরাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “মাহিন সরকারের তার অনাগত সন্তানের কাছে বলার মতো গল্প আছে। মাহিন সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে তার রক্ত দিয়ে রাঙিয়েছে। গানপয়েন্টে ৬ জন সমন্বয়কের কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর মাহিন সরকার বলেছিলো ‘মানি না’। মাহিন সরকারসহ চারজন সমন্বয়কই বাকি সমন্বয়কদের বৈধতা দিয়েছে। মাহিন সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে ন্যায়বিচারে মাঠে নেমেছিলো, কেউ আসেননি পাশে।”
তিনি আরো লেখেন, “আজকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই বহিষ্কার করে দিলেন। সর্বোপরি, মাহিন সরকার তাদের একজন যার হাতে অভ্যুত্থানের ব্যানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠিত হয়েছিলো। অন্তত আমার কথাগুলো বলার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিলো। যদি গুরুতর আর্থিক অনিয়ম কিংবা চারিত্রিক স্খলনের মতো অভিযোগ থাকে তারপরও সংগঠনসমূহে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। আমি সে সুযোগও পাইনি, এটা সামগ্রিকভাবে নবগঠিত রাজনৈতিক দলের জন্য ক্ষতিকর হয়ে গেলো। আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি বিজয় আসমান থেকেই আসে, জমিনে তার প্রতিফলন হয় মাত্র।”
রুপসীবাংলা ৭১/এআর