রুপসীবাংলা ৭১ প্রতিবেদক : নোয়াখালী সদর উপজেলার কাজিরচর গ্রাম থেকে মো. মাহফুজ নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি, পরকীয়ায় প্রস্তাব জানাজানি হলে তাকে হত্যা করা হয়েছে।শনিবার দুপুরে ওই গ্রামের হাসমত উল্যাহর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।নিহত মাহফুজ ওই গ্রামের মো. ছায়েদুল হকের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, প্রবাসী বন্ধু সোহাগের স্ত্রী আছমা আক্তার সম্প্রতি মাহফুজকে ইমুতে অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে পরকীয়ার প্রস্তাব দেন। এ বিষয়ে মাহফুজ তার ভাবিকে অবহিত করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। পরে শুক্রবার সকালে মাহফুজের বাবা ছায়েদুল হক সোহাগের বাবা-মাকে এ ঘটনা জানান এবং ভবিষ্যতে তাদের পুত্রবধূকে এমন কাজ থেকে বিরত রাখতে অনুরোধ করেন।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার বিকালে সোহাগের স্ত্রী আছমা আক্তার, তার ভগ্নিপতি শাহীন ও ভাই সবুজ প্রতিবেশী আবদুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে মাহফুজের বাবা-মাকে গালমন্দ করেন। এ সময় তারা মাহফুজকে হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করে পরিবার।নিহতের পরিবারের দাবি, ওই ঘটনার পর শনিবার ভোরে বাড়ির পেছনে পেয়ারা গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় মাহফুজের মরদেহ পাওয়া যায়।
এদিকে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ বলছে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে তারা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানায় পুলিশ।
রুপসীবাংলা ৭১/এআর