রুপসীবাংলা৭১ অন্যান্য ডেস্ক : পোষা প্রাণীর মধ্যে বিড়াল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাণী। তাদের কৌতূহলী স্বভাব, নরম লোম, আর নানা ভঙ্গিমায় খেলাধুলা মানুষের মন জয় করে নেয়। ছোট থেকে বড়, সকলেই এই প্রাণীটির প্রতি মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ। বিশেষ করে বাচ্চারা বিড়ালের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসে, আর বড়রাও মানসিক শান্তি পায় এই ছোট্ট প্রাণীর সান্নিধ্যে।
বিশ্বজুড়ে পোষা প্রাণীর হিসেবে বিড়ালের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।প্রতি বছর ৮ আগস্ট পালন করা হয় বিশ্ব বিড়াল দিবস। ২০০২ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার এই দিবসের সূচনা করে। এর উদ্দেশ্য হলো বিড়ালের প্রতি মানুষকে সচেতন করে তোলা, তাদের সঠিক যত্ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রতি ভালোবাসা বাড়ানো।
এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই দিনটিকে উৎসবের মতো পালন করে থাকে। বাংলাদেশেও বিড়াল অত্যন্ত জনপ্রিয়। দেশি বিড়াল ছাড়াও পার্সিয়ান, মিক্সড ব্রিড, বেঙ্গল, সাইবেরিয়ান প্রজাতির বিড়াল সহজলভ্য ও পোষা হয়ে থাকে। স্থানীয়রা সাধারণত দেশি ও পার্সিয়ান প্রজাতির বিড়াল বেশি পছন্দ করে।
বিড়ালের প্রতিটি প্রজাতিরই আলাদা বৈশিষ্ট্য ও চাহিদা থাকে, তাই তাদের সঠিক পরিচর্যার জন্য আলাদা মনোযোগ প্রয়োজন।ইসলামে বিড়ালকে পরিচ্ছন্ন প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিজের বাড়িতে বিড়ালের প্রতি মায়া দেখিয়েছেন এবং মুসলিমদের এই প্রাণীটিকে ভালোভাবে লালন-পালনে উৎসাহিত করেছেন। ইসলাম ধর্মের দৃষ্টিতে বিড়ালের পরিচ্ছন্নতা ও সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা মুসলিমদের মাঝে এই প্রাণীটির প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা বৃদ্ধি করেছে।
বিড়ালের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় টিকা ও যত্ন
বিড়ালের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ রোগ হল ফ্লু।বাচ্চা বিড়ালের প্রথম ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ফ্লুর টিকা দেয়াটা অত্যন্ত জরুরি। এর পর থেকে প্রতি বছর অন্তত একবার ভ্যাকসিন দিতে হয় যাতে তারা স্বাস্থ্যবান থাকে এবং কামড় বা আচঁড় থেকে সৃষ্ট রোগের ঝুঁকি কমে। নিয়মিত পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।
বিড়াল থেকে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সাবধানতা
বিড়ালের মলের মাধ্যমে ছড়ানো পরজীবী টক্সোপ্লাজমোসিস মানুষের মধ্যেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে, যা বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য বিপজ্জনক। এছাড়া, উকুন, ফ্লি ও অন্যান্য পরজীবী মানুষের ত্বকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। সালমোনেলা এবং ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর ব্যাকটেরিয়া বিড়ালের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশের আশঙ্কা থাকে। এজন্য বিড়ালের সঠিক পরিচর্যা ও নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রুপসীবাংলা৭১/এআর