রুপসীবাংলা৭১ অন্যান্য ডেস্ক : ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর এক সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রে ত্রাণ নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই আমির নামে এক শিশুকে গুলি করে ইসরায়েলি সেনারা। নিহত ১০ বছর বয়সী সেই শিশুর মরদেহ এখনো তার পরিবার পায়নি। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
দুই মাসেরও বেশি সময় আগে সে নিখোঁজ হয় এবং মাত্র এক সপ্তাহ আগে জিএইচএফের সাবেক কর্মকর্তা অ্যান্থনি অ্যাগুইলা জানিয়েছেন, তিনি দেখেছেন কিভাবে ইসরায়েলি বাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করে।
অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন সেনা অ্যান্থনি আগুইলার বলেন, গত ২৮ মে দক্ষিণ গাজার জিএইচএফ-এর একটি সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকালে তিনি আবদুর রহিম ‘আমির’ আল-জারাবেয়াকে খুন হতে দেখেছেন।
আগুইলার বলেন, এই ছোট্ট ছেলে আমির খালি পায়ে, ছেঁড়া কাপড় পরে আমার কাছে এসে দাঁড়ায়। তার শরীর ছিল কঙ্কালসার। সে ১২ কিলোমিটার হেঁটে সেখানে পৌঁছায়।
আমাদের কাছ থেকে কিছু টুকরো খাবার পেয়ে সে ধন্যবাদ জানায়। ‘আমি তখন হাঁটু গেঁড়ে বসে ছিলাম। সে তার খাবার মাটিতে রাখে, তারপর তার ক্ষীণ, কঙ্কালসার, ময়লা হাতে আমার গালে হাত রাখে এবং আমাকে চুমু খায়। সে আমাকে ইংরেজিতে বলে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’।
এরপর সে জিনিসগুলো নিয়ে ফিরে যায় তার দলের দিকে।’‘তারপরই তাকে লক্ষ্য করে পিপার স্প্রে, টিয়ার গ্যাস, স্টান গ্রেনেড ছোড়া হয়। তার পায়ের কাছে গুলি ছোড়া হয়, আকাশে গুলি ছোড়া হয়। সে দৌঁড়াতে শুরু করে, ভয়ে পালাতে চায়, তখনই ইসরায়েলি বাহিনী ভিড়ের মধ্যে গুলি চালায়।’
‘ওই ভিড়ের মধ্যে থাকা ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকেরা একে একে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে থাকে। আমিরও তাদের একজন।’
আমিরের চাচাতো ভাই কুসাই আল-জারাবেয়া মিডল ইস্ট আইকে বলেন, পরিবার এখনও আশা করছিল যে সে হয়তো বেঁচে আছে, যদিও সে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ। সে এখনো নিখোঁজ। তার ভাগ্য এখনো অনিশ্চিত। সবাই ভেঙে পড়েছে। কিন্তু সে প্রথম শিশু নয়, শেষও নয়। ইসরায়েল ফিলিস্তিনি শিশুদের একের পর এক লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে।
রুপসীবাংলা৭১/এআর