রুপসীবাংলা৭১ ক্রীড়া ডেস্ক : ২০২৩ সালে নারীদের বিশ্বকাপে স্পেনের কাছে হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই ঝাঁঝ মনে হয় ছিল ইংল্যান্ডের মেয়েদের মনে। তাইতো উইমেন’স ইউরোর ফাইনালে ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেলা স্পেনের বিপক্ষে প্রথমে গোল খেয়েও ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর ম্যাচ নিয়ে যায় অতিরিক্ত সময়ে।
১২০ মিনিটের লড়াই শেষ হওয়ার পর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে স্পেনের স্বপ্ন ভাঙে ইংল্যান্ড। পেনাল্টি শুটআউটে ৩-১ ব্যবধানে জেতে ইংল্যান্ডের মেয়েরা।২০২২ সালের পর এবারও টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে তারা। আগের আসরে জার্মানিকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল ইংলিশ মেয়েরা।
মূল ম্যাচের মতো টাইব্রেকারের শুরুটাও বাজে হয় ইংল্যান্ডের। বেথ মিড পা পিছলে পড়ে গিয়ে ‘ডাবল টাচে’ বল জালে পাঠানোর পর পুনরায় শট নিতে হয় তাকে। এবার আর বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। তবে পরের চার শটের তিনটিই জালে জড়ান তারা।
এর আগে, মূল ম্যাচে ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে স্পেন। মোট শট নেয় ২২টি, লক্ষ্যে ছিল ৫টি। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের আট শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল। ২৫তম মিনিটে স্পেনকে এগিয়ে নিয়েছিলেন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড মারিওনা কালদেন্তে। আর ৫৭তম মিনিটে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান আর্সেনালেরই ফরোয়ার্ড অ্যালেসিয়া রুশো।
অন্যদিকে, স্পেনের তারকা আইতানা বোনমাতিসহ স্পেনের তিন জন টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন। যার দুটি শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। তাতে ইউরোর শিরোপা অধরাই থাকে স্পেনের। ১৯৮৪ সালে প্রথম আসরের পর এবারই প্রথম টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হলো উইমেন’স ইউরোর ফাইনাল।
নারীদের ইউরোতে ইংল্যান্ড ছাড়াও একাধিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড আছে নরওয়ে এবং জার্মানির। নরওয়ে ইংল্যান্ডের সমান ২ বার জিতলেও রেকর্ড ৮ বার এই শিরোপা ঘরে তুলেছে জার্মানি।
রুপসীবাংলা৭১/এআর