রুপসীবাংলা৭১ অন্যান্য ডেস্ক : বিমান আকারে ছোট হোক বড় হোক, সেগুলোর রং সাধারণত সাদা হয়। তবে এটা কি কেবল দেখতে সুন্দর বলেই, নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ আছে, চলুন জেনে নেয়া যাক—
সাদা রঙের ব্যবহারের পেছনে নির্দিষ্ট কারণ আছে। যদি কখনো ভেবে থাকেন যে বিমানকে উজ্জ্বল বা পছন্দের যেকোনো রঙে রং করা যায়, তাহলে আপনার ধারণা ভুল।
বিমানগুলো বেশ সংবেদনশীল হয় এবং সামান্য অবহেলাও ঘোরতর বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বিমানে যেকোনো ক্ষতি বা গর্ত দ্রুত মেরামত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণেই বিমানগুলোকে সাদা রং করা হয়। সাদা এমন একটি রং যার ওপর যেকোনো ধরনের ত্রুটি সহজেই লক্ষণীয়। এই কারণেই বেশিরভাগ বিমান সংস্থা তাদের বিমানগুলোকে সাদা রং করতে পছন্দ করে।
এ ছাড়া সাদা রং অন্যান্য রঙের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরভাবে সূর্যালোক প্রতিফলিত করে। এটি বিমানের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। বলা হয় যে উড়ানোর সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাদা রং তাপ শোষণ করে না।
যার ফলে বিমানের আভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা যথেষ্ট কম রাখতে সুবিধা হয়।সাদা রঙের বিমান আকাশে সহজেই ট্র্যাক করা যায়। সকল রঙের মধ্যে সাদা রং আকাশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান। নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকেও এই রংটি উপকারী। এটি বিমানের যেকোনো ত্রুটি সহজেই শনাক্ত করতে এবং মেরামত করতে সহায়তা করে।
তা ছাড়া সাদা রং এমন একটি রং, যা সহজেই চোখে পড়ে—এমনকি অন্ধকারেও। আরো একটি সুবিধা হলো এটি দ্রুত বিবর্ণ হয় না। সাদা রংকে সবচেয়ে হালকা রং হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। বলা হয় যে গাঢ় রঙে একটি বিমান রং করলে ৮ জন যাত্রীর ওজনের সমান ওজন হতে পারে। কারণ গাঢ় রং বেশি ভারী।
এ ছাড়া বিমানের বিশেষ কিছু নিয়ম আমাদের সাধারণ ধারণার বাইরে। উড়ান বা অবতরণের সময় কেন ল্যাপটপ বন্ধ করতে হয়, কিন্তু ট্যাবলেট খোলা রাখা যায়? কেন আমাদের ফোনগুলোকে এরোপ্লেন মোডে রাখতে হয় এবং যদি আমরা তা না করি তবে কী হবে? কেন আমাদের বিমানের গতি যখন ৫ মাইল প্রতি ঘণ্টায় তখন সিটবেল্ট পরতে হয়, কিন্তু ৫০০ মাইল প্রতি ঘণ্টায় বাতাসে ওড়ার সময় পড়তে হয় না? এখানে আরো একটি নিয়ম আছে যা মনে হতে পারে কোনো মাথামুণ্ডু নেই। কিন্তু অন্যান্য অনেক নিয়মের মতো এর নেপথ্যেও সঙ্গত যুক্তি রয়েছে। যদি বাইরে অন্ধকার থাকা অবস্থায় কোনো বিমান উড়ান বা অবতরণ করে, তাহলে বিমানের কেবিনের আলো অবশ্যই নিভিয়ে দিতে হবে।
যখন কেবিনের ভেতরে আলো কম থাকে, তখন আলোকিত জরুরি বহির্গমন চিহ্নগুলো সহজেই দেখা যায়। দ্বিতীয়ত, টেকঅফ ও অবতরণের সময় (নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিমানের যে পর্যায়গুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ), যাত্রীদের তাদের চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেবিনের আলো কম থাকলে এতে সাহায্য করে।
সূত্র : আজকাল
রুপসীবাংলা৭১/এআর