শাহ কামাল সবুজঃ নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাদার ১ লক্ষ টাকা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দীন মোল্লার দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ২নং ঢাকেশ্বরী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধার মালিকানাধিন ৪টি দোকান ভেঙে নিয়ে যায় একটি চাঁদাবাজ চক্র।
জানা গেছে, বিগত ৫ আগষ্টের পর বিভিন্ন এলাকায় লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়েছে এই দুবৃত্তরা। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বেশ কয়েকজন ওই মুক্তিযোদ্ধার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সময় মতো চাঁদার টাকা না পেলে দোকান ভাঙচুর করার হুমকি দেয়।
পরে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ নিয়ে ভুক্তভোগী এ বছরের শুরুর দিকে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডাইরি করার পরও তারা ঐ দোকান থেকে এতোদিন জোরপূর্বক ভাড়ার টাকা তুলতো।
এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় তারা দোকান ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়
এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই দুপুরে উল্লেখিত দোকানগুলো ভেঙে চুরমার সহ নিশ্চিহ্ন করে দেয় চাঁদাবাজ চক্র।
এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দীন মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ২নং ঢাকেশ্বরী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কের পাশে ৪টি দোকান নির্মাণ করেছি এবং শান্তিপুর্ণ ভাবে দোকান চালিয়ে আসছি। কিন্তু ৫ আগষ্ট ২০২৪ পর কতিপয় লোকজন দোকানগুলো দখল করার পায়তারা সহ প্রতিমাসে লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে। এ ঘটনায় থানায় জিডি করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এরপর আজকে বৃহস্পতিবার দোকানগুলো ভেঙে যাবতীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাবুউল্লা গংরা । যারা ভাঙচুর করছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকনের নির্দেশে এসব দোকান ভাঙচুর করা হচ্ছে।
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও চাদাবাজদের হাতে জিম্মি। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা সহ দোকানগুলো ফেরত পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, ৫ আগষ্টের পর বিএনপির কিছু ছেচড়া নেতারা নিজেদের আখের গোছাতে বিভিন্ন মানুষের বাড়ি-ঘর, জায়গা-জমি ও দোকানপাট দখল , লুটপাট ও ভাঙচুর করতে দেখেছি। এখন দেখলাম একজন মুক্তিযোদ্ধার দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা। এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী এলাকাবাসির।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।