ঢাকাপ্রতিদিন বিনোদন ডেস্ক : পুরনোদের জায়গা ছেড়ে দিতে হয়— এটাই নিয়ম। সময়ের নিয়মে টিভি নাটক, ওটিটি ও চলচ্চিত্রে এসেছে একঝাঁক নবীন অভিনয়শিল্পী। আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন তাদের। এখান থেকেই কেউ হয়তো হবেন ভবিষ্যতের শাকিব খান-অপূর্ব বা শাবনূর-জয়া আহসান।
এমন ১০ জনকে নিয়ে লিখেছেন হৃদয় সাহা। ধারাবাহিকভাবে আজ থাকছে দুজনের গল্প। সাদনিমা বিনতে নোমান ও মালাইকা চৌধুরী।
এ বছরই টিভি নাটকে অভিষেক সাদনিমার।
সাদনিমা বললেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। অনেকগুলো বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করেছি।
এরপর পড়াশোনায় মনোযোগ দিই। স্নাতক সম্পন্ন করে সিদ্ধান্ত নিই, অভিনয়ে আসব। ‘গোল্ডফিশ’ নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পাই। এরপর ‘আগলে রেখো আমায়’ নাটকে অভিনয় করে বেশ সাড়া পেয়েছি।প্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের মতোই সব সময় মানসম্পন্ন কাজ করে যেতে চান সাদমিনা।
এখনো পর্যন্ত মাত্র দুটি নাটক প্রকাশিত হয়েছে তাঁর, এতেই তিনি আলোচনায়। থাকবেন নাই বা কেন? মেহজাবীন চৌধুরীর ছোট বোন বলে কথা। প্রথম দুটি নাটক ‘সন্ধিক্ষণ’ ও ‘ক্ষতিপূরণ’-এ সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন বড় বোনের দুই সহশিল্পী ফারহান আহমেদ জোভান ও ইয়াশ রোহানকে। নাটকে অভিনয়ের আগে অবশ্য একটি বিজ্ঞাপনচিত্র করেছেন, সেটি আবার নির্দেশনা দিয়েছেন ‘দুলা ভাই’ আদনান আল রাজীব।
তিন নম্বর নাটক ‘অনুতপ্ত’ রয়েছে প্রচারের অপেক্ষায়। বলা প্রয়োজন, তিনটি নাটকই নির্মিত হয়েছে মুহম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘সিনেমাওয়ালা’র ব্যানারে।
মালাইকা বলেন, ‘বড় আপুর জনপ্রিয়তা নিজের চোখেই দেখেছি। মাঝেমধ্যেই অভিনয়ের অফার পেতাম। তবে পরিবার থেকে শর্ত ছিল, আগে পড়াশোনা। আমি এখন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। পড়াশোনার গ্যাপেই আদনান আল রাজীব ভাইয়ার বিজ্ঞাপন করি, তারপর আপুর গল্পে প্রথম নাটক ‘সন্ধিক্ষণ’। এটি প্রচারের পর বেশ সাড়া পেয়েছি। আমি আসলে পড়াশোনার জন্য খুব বেশি সময় পাই না, তাই বেছে বেছে নাটক করছি। চলচ্চিত্রে আসার আপাতত ইচ্ছা নেই।’
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর