রুপসীবাংলা ৭১ঃ ভালো বন্ধুত্ব মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়ে দেয় -ঈসা। জীবনে ভালো বন্ধুর কোন বিকল্প নেই, ভালো বন্ধুত্ব মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়ে দেয়,দুঃসময়ে বন্ধুরা বটবৃক্ষের মতো পাশে দাঁড়িয়ে থাকে,টেনশন,দুঃচিন্তা,একাকীত্ববোধ ভালো বন্ধু থাকলে কম হয়।বন্ধু কে প্রাণখুলে সব কিছু বলা যায়,যার জীবনে যতবেশি ভালো ও সৎ বন্ধু আছে, জীবনে সে তত সফল।সেই সাথে ভালো স্ত্রী, সুসন্তান জীবনের বড় নেয়ামত।
৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ শুক্রবার খুলনা খালিশপুর ঐতিহ্যবাহী প্লাটিনাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯০’র ব্যাচ আয়োজিত সারাদিন ব্যাপী ভৈরব নদীতে নৌ ভ্রমণ ও মিলন মেলায় জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান ও এনডিপির মহাসচিব ৯০’র ব্যাচ এর মো.মঞ্জুর হোসেন ঈসা এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা সবাই সত্যি ভাগ্যবান,আজকের এই ১ টা দিনের জন্য ১ বছর অপেক্ষা করি।এই দিনকে সামনে রেখে আমাদের বন্ধুরা কেউ আমেরিকা, কেউ ইটালি, কেউ অস্ট্রেলিয়ার, কেউ ঢাকা,গোপালগঞ্জ, বরিশাল,নড়াইল থেকে ছুটে আসে।তারা শুধু ছুটেই আসেনা বরং অনুষ্ঠান সফল করতে অতিরিক্ত সবকিছু করে।কোন বন্ধু বিপদে পড়লে সবাই মিলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করে।জীবন থেকে অনেক সময় গড়িয়েছে।ফেলা আসা ৩৪ বছর আজো মনে হয় সেদিন। তবে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ রয়েছে আমাদের স্কুল চালু থাকলেও মিল বন্ধ থাকায় কলোনি এখন ভূতরে কলোনিতে পরিনত হয়েছে। কলোনিতে যেখানে হাজার হাজার শ্রমিক ও তাদের সন্তানরা থাকতো এখন মানবশূণ্য মৃত্যু নগরীতে স্থানান্তরিত হয়েছে। নতুন বছরে নতুন ছাত্র /ছাত্রী পাওয়া যায় না।আমাদের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকরা প্রাণ খুজে পায় না।এই অবস্থা পরিবর্তন করতে হলে বন্ধ মিল আবার চালু করার কোন বিকল্প নেই।
নৌভ্রমণে ৭৬ জন উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাইকে একটি মগ,একটি গেঞ্জি, একটি ক্যাপসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য খাবার দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ গ্রহণ যারা করে বিজয়ী হয়েছেন তাদের কে পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে ফুটবল, ক্রিকেট, হাউজিসহ নানা ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়।
সকাল ৭ টায় একে একে প্লাটিনাম গেইটে সবাই আসতে শুরু করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চা চক্র এর মধ্য দিনটি শুরু হয়।সকাল ৯ টায় নৌভ্রমন শুরু হলে সকলকে নাস্তা, চা ও মিষ্টিমুখ করানো হয়।তারপর চলে আড্ডা আর গল্প ও স্মৃতিচারণ।সবাই হারিয়ে যায় সোনালি অতীতে।গল্প শেষ না হতেই পুবের সূর্য পশ্চিমে হারিয়ে যায়। শুরু হয় বিদায়ের পালা অপেক্ষা আবার সামনের ২০২৫ এর ৯ ফেব্রুয়ারী।
সার্বিক সহযোগিতা ও দায়িত্ব পালন করেছেন বাবু,শহীদ,জুয়েল,জাকির, হায়াত, জাতীয় ফুটবলার সেলিম,রিয়াজ,মনির,এজাজসহ অনেকে।