রুপসীবাংলা৭১ তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : চীনের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা (CNSA) সম্প্রতি এই মহাকাশযানের তোলা চোখধাঁধানো কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। গত ২৯ মে চীনের সিচুয়ানে অবস্থিত শিচ্যাং স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে লং মার্চ-৩বি রকেটে করে যাত্রা শুরু করে তিয়ানওয়েন-২।
এর ঠিক একদিন পর, ৩০ মে—যখন এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৫ লাখ ৯০ হাজার কিলোমিটার দূরে—তখনই তোলা হয় চাঁদ ও পৃথিবীর সেই মনোমুগ্ধকর ছবিগুলো।
বর্তমানে মহাকাশযানটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। মহাকাশে এটি ইতোমধ্যেই ৩৩ দিন পার করেছে। মিশনের মূল লক্ষ্য হলো- পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা অ্যাস্টারয়েড ২০১৬ HO3 (অথবা ৪৬৯২১৯ কামো’ওয়ালেওয়া) থেকে মাটি সংগ্রহ করা এবং মূল বেল্ট অঞ্চলের ধূমকেতু ৩১১পি পর্যবেক্ষণ করা। এই গবেষণায় সৌরজগতের উৎপত্তি ও বিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।
চীনের মহাকাশ সংস্থার তথ্যমতে, তিয়ানওয়েন-২ মিশনের মেয়াদ প্রায় ১০ বছর। এর মধ্যে মহাকাশযানটি অ্যাস্টারয়েড এবং ধূমকেতু ঘুরে মাটি সংগ্রহ করে ২০২৭ সালের নভেম্বরের মধ্যে পৃথিবীতে ফিরবে। প্রায় ২০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত মাটি সংগ্রহ করার লক্ষ্য রয়েছে।
এই অভিযান সফল হলে শুধু সৌরজগতের গঠন নয়, পৃথিবীতে পানির উৎপত্তি সম্পর্কেও নতুন ধারণা পাওয়া যাবে।
চীনের ‘স্পেস ড্রিম’-এর অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে চীনা মহাকাশচারীদের চাঁদে পাঠানো ও সেখানে একটি স্থায়ী ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে চীন মহাকাশ গবেষণায় দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
রুপসীবাংলা৭১/এআর