রুপসীবাংলা৭১ প্রতিবেদক : বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি বলেছেন, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অস্ত্র রাখার বিষয়টি আইনত অপরাধ। তাকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। সরকারের উচিত তার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।
নিলুফার মনি বলেন, ‘যারা এসেছিল তারা তো ভালো করার নিয়ত করে এসেছিল।যারা এসেছিল, তারা নিজেরাই মন্দ কাজে জড়িয়েছে। এই আসিফ মাহমুদ। তার সম্পর্কে আপনি দেখেন। তার এপিএস সম্পর্কে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের কথা ওঠল।
আপনি দেখেন যে এই যে গতকালকের যে ঘটনা, কয়টা পত্রপত্রিকা কয়টা বিবৃতি দিয়েছে? বাংলাদেশের সংবাদপত্র যদি এখনো মেরুদণ্ড সোজা করতে না পারে।’
আসিফের অস্ত্র প্রসঙ্গে নিলুফার মনি বলেন, ‘এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সব আইন লঙ্ঘন করেছে। দুই নাম্বার- সে ৪৭ হোক বা ম্যাগাজিন হোক গুলি ভর্তি ছিল। আমি নিজে সংসদ সদস্য ছিলাম।
আমার লাইসেন্স করার কথা ছিল। আমি যখন গিয়েছি, আমি লাইসেন্স করিনি। আমি কিন্তু ওই শর্ত ফিলআপের চিন্তা দেখে পিছিয়ে এসেছিলাম। আজকে যে ১০ মাসের উপদেষ্টা, ১০ মাস আগে তার পরিচয় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ডালভাত খাওয়া পরিচিতি। তার বাবা একটা স্কুল মাস্টার।
এমন কোনো কিছু ছিল না যে সেটা পাহারা দেওয়ার জন্য তার অস্ত্রের দরকার। তার কি টিন সার্টিফিকেট ছিল? একটা টিন সার্টিফিকেট না থাকলে এটার তো প্রশ্নই আসে না। ১০ মাসে ধরলাম টিন সার্টিফিকেট করেছে। তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় এক লাখে একজনের টিন সার্টিফিকেট থাকে কি না সন্দেহ। সরকারও করতে বলে কি না সন্দেহ। সেখানে তার টিন সার্টিফিকেট নেই। পরপর তিন বছর ফি দিতে হয়। তাহলে কিভাবে সে লাইসেন্সের মালিক আমার জানতে ইচ্ছা করে।’
আসিফের বিচার হওয়া উচিত উল্লেখ করে নিলুফার মনি বলেন, ‘হলে আমি থেকেছি। কয় টাকা দিয়ে হলের জীবনযাপন করতে হয় এবং মাসের ২০ তারিখের পর একটা ছেলে মেয়ের কী অবস্থা হয়, এগুলা কিন্তু আমরা সবাই জানি। তাই বলতে চাই, তার বিচার করা উচিত। তার এখনই পদত্যাগ করা উচিত এবং এরপর বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত। সরকারের উচিত নিরপেক্ষভাবে এটার যেন তদন্ত হয়।’
রুপসীবাংলা৭১/এআর