নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, পাকিস্তানের শক্তিকে দুর্বল করার লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশকে করদ রাজ্য বানানোর উদ্দেশ্যে ৭১ সালে হিন্দুস্তান আমাদের মিথ্যে বন্ধু সেজেছিল। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে যুদ্ধ জয়ের কৃতিত্ব নিয়েছে, আমাদের সম্পদ লুটপাট করেছে। ফারাক্কায় বাঁধ দিয়ে আমাদের পানিতে মেরেছে, পানি সল্পতায় কৃষিকাজে ক্ষতিগ্রস্থ করে ভাতে মেরেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে আমাদের রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ভোটে মেরেছে। বছরের পর বছর পাখির মতো সীমান্তে গুলি করে আমাদের মানুষ মেরেছে। পানি দিয়ে শুরু করে ভারত আমাদের ভাতে ভোটে এবং গুলিতে মেরেছে।
জাগপা মুখপাত্র বলেন, ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের ভারতপ্রীতির নজরানায় ১০ দিনের জন্য ফারাক্কা পয়েন্টে পানি প্রত্যাহারের অনুমোদন নেয় হিন্দুস্তান। সেই ১০ দিন বিগত ৫০ বছরেও শেষ হয় নাই।
আজ ১৬ মে (শুক্রবার) সকালে পল্টনস্থ শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে, ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে জাগপা আয়োজিত “মরণবাঁধ ফারাক্কা ভেঙে দাও। ভারত হটাও, কৃষক বাঁচাও-দেশ বাঁচাও” শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, আজকের এই ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবসে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে। দূরদর্শী নেতা ভাসানী উপলব্ধি করেছিলেন হিন্দুস্তান আমাদের বন্ধু নয় আগ্রাসী প্রভু হতে চায়। ৭৬ সালের ফারাক্কা লংমার্চ আমাদের শিক্ষা দিয়েছিল ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সেদিনের সেই লড়াই আজও আমাদের জন্য প্রযোজ্য কারণ ৫৪ টি অভিন্ন নদীর ন্যায্য পানির হিস্যা আমরা পাই নাই। আর তাই ভাসানীর দেখানো পথে ভারতীয় আধিপত্যবাদ, হিন্দুত্ববাদ এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি রাখতে হবে।
জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, প্রকাশনা সম্পাদক জিয়াউল আনোয়ার, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, যুব জাগপার সাংগঠনিক সম্পাদক ওলিউল আনোয়ার, ক্রীড়া সম্পাদক জনি নন্দী, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর প্রমুখ।