নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দেশীয় শিল্প রক্ষায় বেশ কিছু পণ্যে করছাড় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি সাশ্রয়ী ই-বাইক উৎপাদনে বড় ধরনের করছাড়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এই কর ছাড় পেতে দশ শর্ত মানতে হবে উদ্যোক্তাদের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এমনটি জানা গেছে।
প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, স্থানীয়ভাবে ই-বাইক উৎপাদনে ৫ শতাংশের বেশি সব ধরনের কর মওকুফ করা হবে। পাশাপাশি, ই-বাইক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানি বা দেশীয়ভাবে কেনার ক্ষেত্রেও ভ্যাট, আগাম কর ও সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “দেশীয় ই-বাইক শিল্পকে উৎসাহিত করতেই এসব ছাড় দেওয়া হচ্ছে।”জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্র জানায়, ই-বাইক উৎপাদনে উদ্যোক্তাদের বেশ কিছু
শর্ত মানতে হবে। সেগুলো হলো-
১. ই-বাইক কারখানা স্থাপনের জন্য বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বা হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে।
২. ই-বাইক (টু-হুইলার) উৎপাদনের জন্য বিআরটিএ থেকে মেকারস কোড ও টাইপ অনুমোদন নিতে হবে।
৩. কারখানায় কমপক্ষে ২৫০ জন কর্মী থাকতে হবে।
৪.কারখানায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে চেসিস উৎপাদনের সক্ষমতা থাকতে হবে।
৫. ই-বাইকের প্লাস্টিক অংশ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিজস্ব কারখানায় স্থাপন করতে হবে।
৬. নিজস্ব পেইন্ট শপ থাকতে হবে এবং ই বাইক রং করার কাজ কারখানাতেই করতে হবে।
৭. নিজস্বভাবে ব্যাটারি তৈরি করতে হবে বা স্থানীয় উৎপাদনকারীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে ব্যাটারি সংগ্রহ করতে হবে।
৮. ইলেকট্রিক মোটর ও যন্ত্রাংশ নিজস্বভাবে উৎপাদন করতে হবে।
৯. পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ আইএসও সনদ থাকতে হবে।
১০. বিক্রয়কেন্দ্র, যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও বিক্রয়োত্তর সেবা কেন্দ্রসহ তা নিশ্চিত করতে হবে।