ডেক্স রিপোর্টঃ মঙ্গলবার ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সঙ্গে যুক্তরাজ্য সফরে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠকের বিষয়ে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে যোগাযোগ করা হয়।
প্রথম দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের ব্যাপারে অতটা আগ্রহ ছিল না।তবে নির্বাচন সময়ের প্রশ্নে আলোচনা হতে পারে, সেই প্রশ্ন থেকে শেষ পর্যন্ত দলটি এই বৈঠকে সম্মতি দিয়েছে।প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরের ঘোষণা আসার পর থেকেই তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানা আলোচনা চলছিল। আলোচনা চললেও সোমবার পর্যন্ত এ নিয়ে সরকার কিংবা বিএনপির পক্ষ থেকে খোলাসা করে কিছু বলা হয়নি।তবে ভেতরে ভেতরে যে একটা আলোচনা চলছিল সেটা আকার-ইঙ্গিতে সরকার ও বিএনপির পক্ষ থেকে গত দুই দিনে ইঙ্গিতও মিলেছিল।
এসব বিষয় নিয়ে সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও।এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের বিষয়টি।বিএনপি জানিয়েছে, আগামী ১৩ জুন শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত লন্ডনের হোটেল ডোরচেস্টারে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বৈঠকের বিষয়ে মূল আগ্রহ দেখানো হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকেই। যে কারণে সায় দিয়েছে বিএনপি।এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যত যা কিছুই হোক, সৌজন্য তো বজায় রাখতে হবে। আমরা স্টান্ডিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে উনার (তারেক রহমানের) দেখা করা উচিত। দরকার হলে উনি সেই সুযোগে উনার যা রাজনৈতিক আলাপ সেটা করবেন।
আজকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি খোলাসা করেছেন।