রুপসীবাংলা৭১ অন্যান্য ডেস্ক : কোরবানির ঈদ মানেই নানা পদের মাংস রান্নার আয়োজন। এইবারে ঈদে প্রচুর গরম পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঈদে তো কম বেশি সবারই গরুর মাংস খাওয়া হয়েই থাকে। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এতে রয়েছে উচ্চ মানের প্রোটিন। গরু, খাসি, উট, দুম্বা, মহিষ বা ভেড়ার মাংসকে রেড মিট বলে। এতে রক্তস্বল্পতা রোধ, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি, রোগ প্রতিরোধসহ নানা ধরনের উপকারিতা রয়েছে। তবে অবশ্যই পরিমিত খেতে হবে। কেননা গরমে লাল মাংস একটানা দীর্ঘদিন ধরে খেলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ-বালাই।
গরমে গরুর মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ডা. এম এন আলম। চলুন সেগুলো জেনে নেয়া যাক-
কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ায়
গরমে অনেকেই অতিরিক্ত গরুর মাংস খেয়ে ফেলেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরবর্তীতে আরও বড় অসুখ দেখা দিতে পারে। তাই গরমে অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বরং গরুর মাংসের সঙ্গে নানা ধরনের সবজি মিলিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে।
কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি
কোরবানির ঈদে সাধারণত আমাদের রেড মিট খাওয়া বেড়ে যায়। তবে অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া মোটেও উপকারী নয়। তাই খেতে যতই ভালো লাগুক, গরুর মাংস খেতে হবে পরিমিত। চিকিৎসকদের মতে, সপ্তাহে পাঁচ বেলা গরু, খাসি কিংবা ভেড়ার মাংস খেলে বাড়ে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। একইসঙ্গে প্রক্রিয়াজাত রেড মিট খেলে তা মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি
আপনি হয়তো জেনে থাকবেন, গরুর মাংস খেলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। কারণ এতে থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ রক্তচাপ সৃষ্টিতে বা বাড়াতে কাজ করে সোডিয়াম। তাই গরুর মাংস খেলে হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ। সেখান থেকে দেখা দেয় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো সমস্যা। তাই এই ঈদে অতিরিক্ত মাংস খাওয়া থেকে নিজেকে সামলাতে হবে।
চর্বি এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত চর্বি খাওয়া এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কোরবানির সময় এ বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা উচিত। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা রান্না সুস্বাদু হবে মনে করে মাংসে বেশ কিছু চর্বি আলাদাভাবে যোগ করি, এমন ধারণা একেবারেই ভুল। যা কোনোভাবেই করা যাবে না।
মাংসের সঙ্গে সবজি রাখুন
গরমে মাংসের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে সবজি খাওয়া যেতে পারে। টাটকা সবজি পাকস্থলীকে সাবলীল রাখে। মাংসে তেল বা ঘিয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিন। অন্যদিকে ভুনা মাংসের বদলে শুকনো কাবাব করে খান, কোমল পানীয় ও মিষ্টি একেবারেই কম খান। এতে প্রচণ্ড গরমেও মাংস খেয়ে ভালো থাকা যায়।
শরীরচর্চা করুন
একই সঙ্গে হালকা ব্যায়াম বা বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি কমিয়ে নিতে পারলে আরও ভালো। এ সব বিষয় মাথায় রাখলে এই গরমেও সুস্থ থাকতে পারবেন।গরমকালে শরীরের অস্বস্তি দূর করতে রেড মিটের পরিবর্তে হালকা প্রোটিন যেমন মুরগি, মাছ বা উদ্ভিজ্জ প্রোটিন গ্রহণ করুন। এতে শরীর বেশ ভালো থাকবে।
রুপসীবাংলা৭১/এআর