ইবনে মঈন সাখাওয়াত হোসেনঃ লাশ আর পঙ্গুত্বের ভারে যখন জাতি হতবিহবল! তখন ৮মাসে ২৫২ এর উপর বিভিন্ন কর্মসূচির শুরু। ৬সেপ্টেম্বর জাতিয় প্রেসক্লাবে পতিতাদের এই প্রথম সাংবাদিক সম্মলন। এই সমস্ত কর্মসূচি দেখে পথচারীরা মন্তব্য করতে থাকে প্রতিবেশী জঙ্গী সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশকে সুস্থ্যভাবে থাকতে দেয় না।
তাদের মত ওয়ানইলেভেনের পর থেকে বাংলাদেশকে তারা ভীক্ষার ঝুলি হাতে ধরিয়ে দিতে এমন নোংরা কাজ নাই যা তারা করে নাই। বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম আছে যারা অজ্ঞাত কারণে তাদের অপ্রচারের প্রচার সেল এর দায়িত্ব পালন করে।
আগষ্ট-২৪ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এর এক বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হওয়ার সাথে পশ্চিম থেকে গুলি চালাতে ক্লাবের সামনে আসে? এই সময় উত্তরা থেকে আসা এক মহিলা আসিয়া ইসলাম মোহাম্মদপুর থেকে আসা এ্যাড,রুনা আহম্মেদ মাঝখানের গেট লাফিয়ে পাড় হয়ে ক্লাবে আসে? কিন্তু দূর্ভাগ্য এক নেতা তাদের ভয় দেখে তারা না পালালে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে? এদিকে গুলিতে আহত দুইজন যন্ত্রনায় কাতর এর মধ্যে পুলিশের ভয়? তারা যখন পলানো নিয়ে ব্যাস্ত তখন একদল সাংবাদিকতা গুলি করায় অভিনন্দন জানাতে মাঝ খানের গেটে অবস্হান করে।
যে নেতা দুইজন কর্মীকে অসহায় অবস্হায় ক্লাব থেকে বেড় করে দেয়? সে এখন বিশাল নেতা সম্প্রতি তার জন্মদিনে ক্লাবে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বর্তমান মজলুম পরিবারের অন্যতম সদস্যে তারেক রহমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আনন্দোলনের সাথে পরক্ষভাবে প্রকৃত গনতন্ত্র কর্মীদের রাজপথে থাকতে মনিটরিং করতে থাকে।
অপরদিকে ওয়ানইলেভেনের পর থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির আক্রশের স্বীকার ঐ দলটি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে করতে থাকে পাশাপাশি কৌশলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সাথে জামায়াত-শিবির পরিচয় গোপন রেখে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির আগ্রসন প্রতিরোধে থাকে। হেফাজত ইসলাম তাই, এদিকে মুল তিনি শক্তির অভ্যান্তরে লেবাস পরিবর্তন করে অনুপ্রবেশ শুরু করে। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে জবর দখল করা মেয়র অবৈধ ঘোষনা করে রায় দেয়। নির্বাচন কমিশন ঐ রায়ের প্রেক্ষিতে প্রজ্ঞাপন জারী করে। বৈধ অনুমিত ছাড়া দখলদারের পক্ষে দুইজন আইনজীবী হাইকোটে রীট ও খারিজ। এদিকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা কোনমত আ’লীগকে আদালত থেকে ঘোষিত দখল হিসাবে চিহ্নিত হতে দিতে রাজী নয়। এরপর থেকে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা চলছে তাহলে ফ্যাসিবাদের কৃতদাসরা ক্ষমতায়? হঠাৎ করে কিশোর গ্যাং,মাদক ব্যাবসায়ীরা নড়ে চরে বসতে শুরু করছে বলে কানাঘুষা হচ্ছে। এমন পরিস্হিতি সাম্প্রদায়িক অপশক্তির চক্রন্ত থেকে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ২ বছরের জন্যে গণভোটের মাধ্যমে সরকার গঠনের উপর গুরুত্ব আরোপ করতে দেখা যায়।
তাদের ভাষায় রাষ্ট্রপতি ড. মুহাম্মদ ইউনুস। প্রধানমন্ত্রী হবে বিএনপি, জামায়াত,এনসিপি,হেফাজত এর একজন করে প্রার্থী থাকবে। যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবে ঐ দলের প্রধানমন্ত্রী আর ঐ মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হবে।দ্বিতীয়ত সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও সংখ্যক সদস্যে হবে। ৩য় ও ৪র্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসাবে মন্ত্রীত্ব পাবে। এমন একটা ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে পারলে ৮মাস আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারে! কারণ ইতিমধ্যে চক্রান্ত রুখতে ব্যার্থ হলে ১৬ডিসেম্বর ১৯৭১ আত্মসমার্পনের দলিল কার্যকর করতেও পারে। এমন অবস্থার মধ্যে যারা জঙ্গী গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করছে তাদের পরিণতি মীর্জাফরের মতই, এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।