নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আদালতের রায়ে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদ। সাড়ে তিন বছর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তিনিই চেয়ারম্যান।
১৪ মে বুধবার বিকেলে শতাধিক মোটরসাইকেলের বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে তিনি নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। দলীয় নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সোনাইমুড়ী উপজেলা ও বারগাঁও ইউনিয়নের প্রতিটি সড়কপথ। শোভাযাত্রা শেষে স্থানীয়দের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন মাওলানা সাইয়েদ আহমদ।
জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি মাওলানা সাইয়েদ আহমদ সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে নির্বাচন করে কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে জয় লাভ করেন। কিন্তু উপজেলাতে ফলাফল সিট ঘষা-মাজা করে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সামছুল আলমকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর ১৪ মে দুপুরে নোয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ান মনিরুজ্জামান মাওলানা সাইয়েদ আহমদকে ৪৬৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাওলানা সাইয়েদ আহমদ ১৪ মে বিকেলে সোনাইমুড়ী এলাকায় প্রবেশ করতেই শতাধিক মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রায় তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। শোভাযাত্রা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে পুরো ইউনিয়ন ঘুরে বেড়ায়। পথিমধ্যে তিনি সাধারণ মানুষ ও সমর্থকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এসময় অনেক সমর্থককে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়তে দেখা যায়। তার এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় জামায়াত নেতা মাওলানা রহিমুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। সেদিন আমাদের বিজয় কেড়ে নিয়ে নৌকার প্রার্থীকে দেওয়া হয়। আমাদের তখন আল্লাহর দরবারে বলা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। আজ আমরা মহা আনন্দিত এবং খুশি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়ার ভাষা আমাদের নাই। যারা অন্যায় ভবে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে তারা আজ এলাকা ছাড়া।