রুপসীবাংলা ৭১ প্রতিবেদক : চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই রাজশাহী মহানগরসহ জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ফার্মেসিসহ মুদি দোকানেও এখন অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন রোগের ওষুধ। অবাধে বিক্রির তালিকায় জ্বর, ব্যাথানাশক, গ্যাস্টিক, সর্দি-কাশি, ভিটামিন ও ডায়রিয়ার ওষুধ উল্লেখযোগ্য। অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব দোকানে নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজকসহ বিভিন্ন ওষুধও বিক্রি করছে।
অসাধু ব্যবসায়ী চক্র দোকানগুলোতে যাতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অবাধে ওষুধ বিক্রি করতে না পারে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজরদারির আহবান জানিয়েছেন এলাকার বিশিষ্টজনেরা। অপরদিকে দোকানিদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, মানুষের সবসময় প্রয়োজন হয় এমন কিছু ওষুধ আমরা তাদের উপকারের জন্য কিনে এনে রাখি। যাতে প্রাথমিকভাবে রোগী ওষুধটি হাতের নাগালে পায়। তারা বলেন, নিয়ম আছে কিনা তা আমরা জানি না। আমাদের আগেও এলাকায় যাদের দোকান ছিল তারাও এভাবেই ওষুধ বিক্রি করতেন।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এস,আই,এম রাজিউল করিম বলেন, ‘মুদি দোকান বা অন্যান্য দোকানে ওষুধ বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। এটা অনিয়ম। বিষয়টি আমাদের অধীনে নয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধীন।’ওষুধ প্রশাসনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, পাড়া-মহল্লার দোকানে ওষুধ বিক্রি করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বৈধভাবে ওষুধের ব্যবসা করতে চাইলে অবশ্যই ড্রাগ লাইসেন্স থাকতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্সের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
তিনি বলেন, আমাদের জনবলের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ড্রাগ লাইসেন্স না নিয়ে ওষুধ বিক্রি করায় কয়েকটি ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয়েছে। তারপরও নির্দিষ্টভাবে কোন দোকানে ওষুধ বিক্রি হয় সেই তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
রুপসীবাংলা ৭১/এআর