নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জানমালের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেন নিউমার্কট থানা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী।
৯মে সকাল ১১ টায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুস্ঠিত হয়। সাংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবয় পাঠ করে ভুক্তভোগী। লিখিত বক্তব্য সরসরি তুলে দরা হলো।
লিখিত বক্তব্য- আমি মোঃ জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী, নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, রাজধানীর ব্যবসার প্রাণ কেন্দ্র, নিউমার্কেট থানা এলাকায় চাদাবাজি, সন্ত্রাসী ও জুলুমবাজদের সঙ্গে লড়াই করে ব্যবসায়ীরা যেমন ব্যবসা করে থাকেন ঠিক তেমনী ওই এলাকায় আমরা যারা রাজনীতি করি তাদেরও কঠিন চ্যালেন্জ মোকাবেলা করতে হয়। ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ব্যবসা করতে পারেন প্রশাসনের সহযোগিতায় সেই কাজটি করতে আমাদের রাজনীতিবিদদেরও অনেক চাদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের রোষানলে ও টার্গেটে পরতে হয়। সন্ত্রাসীদের চাদাবাজির মাঠ দখল কে কেন্দ্র করে চলে নানা মুখি ষড়যন্ত্র। আমিও নিউমার্কেট কে চাদাবাজ মুক্ত করতে গিয়ে এমনি একটি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। গত মে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায় আমার উপর। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা করা হয়। আমি ফোনে নিউমার্কেট থানার ওসি কে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। তাই আমি কোন মামলা করিনি। কিন্তু দুঃজনক হলেও সত্য পরদিন আমি বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতে পাই আমাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমার প্রিয় দল আমাকে বহিষ্কারের আগে আমাকে কোন শোকজ করা বা আমার বক্তব্য নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। আমি ১৯৯৮ সাল থেকে প্রায় তিন দশক ধরে শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া এবং নতুন প্রজন্মের আদর্শীক নেতা শহীদ জিয়ার যোগ্য রাজনৈতিক উত্তরসুরী তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমি কোন ক্ষমতাসীন দলের হাত ধরে রাজনীতিতে আসিনি। ১৯৯৮ সালে বিএনপি যখন বিরোধী দল তখন থেকেই আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হই। এরপর ২৭ বছর ধরে এই দলের ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী থেকে ধাপে ধাপে ওয়ার্ড, থানার সদস্য সচিব, থানার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। আমার ২৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনের কঠিন সময় পার করেছি পতিত শেখ হাসিনার শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছর। আমার বিরুদ্ধে ১৩৭ টি মামলা, ১২৭ দিন পুলিশ রিমান্ড, এক মাস গুমের শিকার, কারাগারে ডান্ডাবেড়ী পরানো সহ এমন কোন জুলুম নির্যাতন নাই যা আমার ও আমার পরিবার, ভাইসহ তাদের উপর করা হয়নি। আজ সাড়ে ১৭ বছর ধরে নিউমার্কেট মাছের বাজারে আমার মাছের আড়ত ও ব্যবসা হারাতে হয়েছে বিএনপি করার অপরাধে। গত সাড়ে ১৫ বছর আমি আমার সন্তান পরিবার পরিজনহীন ছিলাম আওয়ামী দুঃশাসনকাদের রোষানলে পরে। কখনো জেলে কখনো যাযাবর জীবন যাপন করতে হয়েছে। আমরা যাদের নিয়ে গত সাড়ে ১৫ বছর রাজ পথে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি,একে অপরের পাশে থেকেছি। গত জুলাই আগষ্ট ছাত্রজনতার গনঅভ্যুত্থানে আমরা রাজপথে লড়াই করেছি। কিন্তু ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই দেখতে পাই নিউমার্কেট এলাকায় নতুন নতুন মুখ। যাদের আমারা গত সাড়ে ১৫ বছরের আন্দোলনে রাজপথে কখনো দেখিনি। এরা মার্কেটে চাদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক তৈরী করে। আমি এর প্রতিবাদ করায় ওরা আমার উপর হামলা করে।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, এই সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চক্র নিউমার্কেট, কাঁচাবাজারসহ গোটা এলাকায় তাদের বিচরণ বাড়তে থাকে। আর এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী তাদের নেপথ্যে রয়েছে। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিবসহ নীতি নির্ধারনী সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে আমার রাজনৈতিক অবদানের বিষয় টি বিবেচনা করে আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যারহার ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ষড়যন্ত্রকারী মুক্ত করা হোক। একই সঙ্গে আমি আমার জানমালের নিরাপত্তার জন্য আমি রাষ্ট্রের পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।