নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রবিবার দুপুর বারোটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম ফলে বাংলাদেশে বসবাসরত উর্দুভাষীদের বৃহৎ সংগঠন এসপিজিআরছি বাংলাদেশ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর হতে এ দেশের ১৩ টি জেলায় ৭০ টি ক্যাম্পে ঊর্ধ্ব-বাসীর জনগোষ্ঠীরা মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয়ে মানবতার জীবনযাপন করে আসছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার 53 বছর অতিবাহিত হয়েছে। এই সময় বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির অনেক উন্নতি হলেও এই হতভাগ্য জনগোষ্ঠীরা এখনো অত্যন্ত দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। বিগত ৫৩ বছরে যে সরকারি ক্ষমতায় এসেছে এই নিরীহ গোষ্ঠীর মানবিক সমস্যা সমাধানে আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি। আমরা শুধু আশ্বাস আর আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি।
উর্দু বাসীদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকার করতে স্ট্যাটাস্ক বিধি-বিধান প্রণয়ন থাকলেও প্রতিনিয়ত ক্যাম্পাসীরা বিভিন্ন রকমের হয়রানি শিকার হচ্ছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এক. উচ্ছেদ আতঙ্ক ২. বিনামূল্যে সর্বহারাকৃত পানি ও বিদ্যুৎ কেটে যাবার ভয়। আরো আছে প্রভাবশালীদের বৈষম্য বিরোধী আচরণ। উল্লেখ যে বিগত কয়েকদিন যাবত ডিপিডিসি কর্তৃক মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প সহ অন্যান্য ক্যাম্পে বিদ্যুষ সর্ব বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এবং ওয়াসা কর্তৃক সারাদিন পানি দেওয়া হচ্ছে না যার ফলে ক্যাম্পাসি দের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। উদ্যবাসীরা বিগত ৫৩ বছর যাবত মিরপুর সেকশন নং ১১ এর ডি ব্লক এলাকায় স্বাধীনতার পর হতে সরকারি জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করে আসছে। স্টেথোস্কো বিধি অনুযায়ী কেউ তাদেরকে উচ্ছেদ করে নাই। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় বিগত ১৫ দিন পূর্বে অত্র এলাকায় সিটি কর্পোরেশন রাস্তা প্রশস্ত করার নামে ওইসব এলাকায় বসবাসীর কারীদেরকে উচ্ছেদ হওয়ার জন্য মৌখিকভাবে বলে গেছেন। এ নিয়ে আমরা খুবই আতঙ্কিত। গত কয়েকদিন আগে সৈয়দপুরের একটি অনুষ্ঠানে বৈষম্যবৃদ্ধি ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন বলেছেন উর্দুভাষীদের সমস্যা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় আমরা তাদের পুনর্বাসনের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অন্যান্য উপদেষ্টাদের নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিব এটি একটি মানব বিষয়। আমরা এসপিজিআরসি পক্ষ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক শারীর আলম তার বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাই।
আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা কে আহ্বান জানাচ্ছি যে ঢাকা এবং অন্যান্য জেলায় মহাজীর অধ্যুষিত পরিত্যক্ত জমি রহিয়াছে। সেখানে ক্যাম্পে বসবাস বসবাসরত উর্দুবাসীদেরকে সহজেই পুনর্বাসন করা যেতে পারে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনাদের মাধ্যমে আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর করতে চাচ্ছি যে আমাদের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান এবং উর্দুভাষীদের স্থায়ী পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে উচ্ছেসসহ ক্যাম্পে ও তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বহাল কীর্তন এর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।