মঞ্জুর: কাকলি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ খানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সেগুলোকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি একটি স্বার্থান্বেষী মহল স্কুলের সম্পদ লোপাটের চেষ্টা করছে বলেও তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন।সোমবার ৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। আর্থিক অনিয়ম নিয়ে স্কুল কমিটির তদন্তকে স্বার্থান্বেষী মহলের অপ-প্রচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় তদন্ত করার পর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।প্রতিষ্ঠানের হিসাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বেতন বাবদ ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা আয় হয়। অন্যদিকে কর্মচারীদের বেতন ২৫ লাখ টাকার অধিক এবং ইউটিলিটি বিল বাবদ মাসিক ব্যয় সাড়ে তিন লাখ টাকা। অর্থাৎ মাসে কম-বেশি সাড়ে ২৯ লাখ টাকা খরচ হয়।তার বক্তব্য অনুযায়ী এভাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয় প্রায় ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। প্রকৃত ব্যয় প্রায় ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ব্যাংকে গচ্ছিত অবশিষ্ট প্রায় ১৫ লাখ টাকা।রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয় তিনি বলেন, আমি কখনোই রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি করিনি। বরং কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহল ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকেরা আমাকে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে বাধা দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তিনি জানান, তাকে আওয়ামী সন্ত্রাসী বলে যারা আক্রমণ করেছে তারাই মূলত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।