শাহজালাল (রাসেল : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রধান কার্যালয় ঢাকা, সিলেটের পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতি ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেটে বন্ধ থাকা সকল পাথর কোয়ারী খোলে দেওয়ার ব্যপারে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করায় বৃহত্তর সিলেট বিভাগীয় পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিক এক্য পরিষদের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারক বাদ জানাচ্ছি। আমরা বৃহত্তর সিলেটের লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবি, পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও জীবিকা নির্বাহকারী মানুষের পক্ষথেকে মহোদয়ের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এই আর্জি পেশ করছি। সিলেট বিভাগীয় একমাত্র বৃহত্তম উপার্জন ক্ষেত্র পাথর কোয়ারী সমূহ বন্ধ থাকার ফলে এই অঞ্চলের কোটি মানুষের জীবনে নেমে এসেছে অবর্ননীয় দূর্ভোগ। ফ্যাসীবাদ আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট শক্তি শালী মাফিয়া সিন্ডিকেটের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে বিগত ২০১৯ইং সাল থেকে সিলেটের পাথর কোয়ারী সমূহ হইতে পাথর উত্তলন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে এই অঞ্চলের কোটি শ্রমজীবি, ব্যবসায়ী ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে নেমে আসে চরম দুঃখ দূর্দশা। পাথর কোয়ারী বন্ধ করে দিয়ে সেই সময়ে শুরু হয় রির্জাভের ডলারের অপচয় করে বিদেশ থেকে পাথর আমদানী। চিহ্নিত এই চক্র ভারত থেকে পাথর আমদানীর নামে ব্যাপক ভাবে অর্থ পাচার শুরু করে বিগত আট বছরে এই অপশক্তি সিন্ডিকেট পাথর আমদানীর নামে আমাদের জাতীয় রির্জভের বিলিয়ন বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার করতে সক্ষম হয়। অবকাঠামো উন্নয়নের অন্যতম উপাদান পাথরের পর্যান্ত মজুদ আমাদের দেশীয় পাথর কোয়ারী গুলোতে বিদ্যমান। নিজস্ব মজুদ থাকা সত্ত্বেও দেশ বিরোধী অপশক্তির মদদে বিদেশ থেকে পাথর আমদানির নামে অপচয় হচ্ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। এই দিকে পাথর আহরন বন্ধ করার ফলে বৃহত্তর সিলেটের প্রায় কোটি মানুষ বেকার ও কর্মহিন হয়ে পড়েন। অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋনে জর্জরিত হয়ে ঋন খেলাপি হয়ে মামলার দায়ে ফেরারি জীবন যাপন করছে।
পাথর কোয়ারী খুলে দিয়ে মানুষের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করন ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় কল্পে কার্যকর ব্যবস্থা করার জন্য আমরা অতিতে সরকারের নিকট দাবি জানিয়ে আসলে ও ফ্যাসিবাদ সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবির প্রতি কোন সহানোভূতি জানানো হয়নি।
উপরন্ত কোয়ারী আন্দোলন দমাতে আওয়ামী সরকার আমাদের উপর ব্যাপক দমন পীড়ন চালায়। এমতাবস্থায় মানবিক বিপর্যয় এড়াতে এবং দেশের অর্থনীতির স্বার্থে সিলেটের পাথর কোয়ারী সমূহ খুলে দেওয়া প্রয়োজন।
পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় প্রতি বছর যে ক্ষতি হচ্ছে..
১। বছরে ভারত থেকে বৈদেশিক রির্জাভের ডলার দিয়ে অনুমান ৫ বিলিয়ন ডলারের পাথর আমদানি করা হয়
২। কোয়ারী বন্ধ থাকায় বৃহত্তর সিলেটের কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
৩। সিলেটের কোটি মানুষ সব হারিয়ে ব্যাংক ঝনের দায়ে এখন দেওলিয়া হয়ে বেড়াচ্ছে। এবং কর্ম না থাকায় বেড়েছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি ও চোরা চালান ইত্যাদি।
৪। পাথর উত্তোলন না হওয়ায় উজান থেকে পাহাড়ে চলে নেমে আসা পাথরে নদী সমূহের উৎসমুখ ভরাট হয়ে নদীর গতী পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।