রিপোর্টঃ- শাহজালাল(রাসেল)-সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণসহ নানা অনিয়মে অভিযুক্ত ও বিতর্কিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আব্দুস সামাদের অপসারণের দাবিতে ১০ম দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশে উত্তাল রয়েছে অধিদপ্তরটি।
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার সকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে চার থেকে পাঁচশ কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশ নেন। দাবি আদায় না হলে আরো কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষুব্ধরা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে ন্যূনতম কোন ধারণা না থাকা এই কর্মকর্তা বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ কারণে তাকে প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালকের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হতে অনতিবিলম্বে অপসারণ করে তার পরিবর্তে একজন শিক্ষাবান্ধব ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে পদায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০ আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আসেন এবং মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু সভায় মহাপরিচালক তার নির্বাচিত কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে গোপনে সব আয়োজন শেষ করেন। এ ছাড়া সভায় তিনি তার পছন্দের মাত্র ৬ জন ব্যক্তিকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেন, যাদের সবার কাছ থেকেই সভার দিন সকালবেলা বক্তব্যের স্ক্রিপ্ট জমা নেন।
স্থানীয় বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সুপারিশে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিন মাস হতে চললেও তিনি ছয়-সাত বছর ধরে একই শাখায় কাজ করা এবং বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সুবিধাভোগীদের এখনো বদলি করেননি। সব বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ ও পদলোভী কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তিনি তার মহাপরিচালক পদ ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।
নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেন প্রধান সমন্বয়ক মো. আব্দুর রেজ্জাক সিদ্দিকী বলনে, ৫ সপ্টেম্বরের মধ্যে অপসারণ না হলে, আগামী ০৮ সপ্টেম্বর হতে প্রাথমিক শিক্ষা অধদিপ্তরসহ মাঠ পর্যায়ের সকল দপ্তরে (বিদ্যালয় বাদে) মহাপরিচালকের অপসারণের দাবীতে ব্যানার টানানো, ০১ ঘন্টার কর্ম বিরতি ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচী পালনের ঘোষনা দেন তিনি।
উক্ত সমাবেশে অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী মহাপরিচালকের অপসারণ চেয়ে বক্তব্য প্রদান করনে। বক্তারা হলেন, নাসমিা বগেম (পরিচালক), আলয়ো ফরেদৌসী শিখা (উপ-পরিচালক ), আব্দুল আলীম (উপ-পরিচালক ), নুরুল ইসলাম (উপ-পরিচালক), এনামুল হক (সহকারি পরিচালক),
সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুস সলেমি, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম তকবিুল ইসলাম, কর্মচারীদের সমিতির পক্ষে হতে মো. আব্দুল হালিম, খায়রে আহমদ মজুমদার (সাধারন সম্পাদক), আব্দুল মতিন (সভাপতি) শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট থেকে মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে এ কর্মসূচী পালন করেন তারা।