মঞ্জুর: আদালত অধ্যপকদের পদ ৩য় গ্রেডে উন্নীত করে ৩ মাসের মধ্যে কার্যকর করার নির্দেশনা প্রদান করলেও তৎকালীন সরকার এটা বাস্তবায়ন করে নেই। তাই প্রশাসন ক্যাডারসহ অন্যান্য ক্যাডারের ন্যায় শিক্ষা ক্যাডারে ৫ম গ্রেড থেকে ৩য় গ্রেডে পদোন্নতির দাবি জানিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি। আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ পদোন্নতির দাবি জানান তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন।এ সময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে সর্বোচ্চ ৪র্থ প্রেডে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। প্রশাসন ক্যাডারসহ অন্যন্য ক্যাডার কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেড হতে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি পান। কিন্তু শিক্ষা ক্যডারের কর্মকর্তারা চতুর্থ গ্রেডে পদোন্নতি পান এবং চতুর্থ গ্রেডেই আটকে থাকছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ তে অধ্যাপকদের ৩য় গ্রেডে (সিলেকশন গ্রেড) উন্নীত হওয়ার সুযোগ রহিত হয়ে ৪র্থ গ্রেডে অবনমন ঘটে।অর্থাৎ ২০১৫ সালের পূর্বে সিলেকশন গ্রেডের মাধ্যমে বিসেএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ ৩য় গ্রেড পেতেন এখন সেটা বন্ধ হয়ে ৪র্থ গ্রেডে স্থির হয়ে আছে। প্রায় অর্ধেক চাকরিকাল ৪র্থ গ্রেডে কাটিয়ে সেখান থেকেই অবসরে যেতে হচ্ছে।’ সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির সভাপতি এস এম কামাল উদ্দিন বলেন, ‘হাজারো সমস্যায় জর্জরিত শিক্ষা ক্যাডারে এই মূহুর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা পদোন্নতি। শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাগণের বঞ্চনা দূরীকরণে অবিলম্বে পদোন্নতিযোগ।সবাইকে সকল টায়ারে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে একসাথে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। পূর্বে তিন টায়ারে একসাথেই পদোন্নতি দেওয়া হতো। কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘদিন পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক মো: আবেদ নোমানী, অধ্যাপক কাজী ফারুক আহম্মদ, অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমদ, আকলিমা আক্তার, মোঃ এনামুল হক ও মোঃ ইমরান আলী সহ প্রমুখ।