রিপোর্টঃ- শাহজালাল (রাসেল)ঃ ২৯ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা জাতীয় প্রেসক্লাব তৃতীয় তলা মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী সমূহ তুলে ধরেন।
আমরা ২০০৯ ইং সালে পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্যগন তৎকালীন ফ্যাসিষ্ট সরকার প্রভু দেশকে স্বন্তষ্ট করতে, সেনাবাহিনীর সামর্থ ক্ষুন্ন করতে বাংলাদেশ রাইফেলস কে ধ্বংস করার জন্য, প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে এবং ক্ষমতাকে সুদৃড় করতে নীল নকশার অংশ হিসেবে সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র পূর্বক পিলখানা হত্যাকান্ড সংগঠিত করে। উক্ত হত্যাকান্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন সাহাদাৎ বরন করে। ঘটনা পরবর্তী ফ্যাসিষ্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও নিরীহ ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করে। পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনাকে তথাকথিত বিদ্রোহ সংঙ্গায়িত করে ৯৮৫২০ জন বিডিআর কে চাকুরীচ্যুতসহ বিভিন্ন মেয়াদে শান্তি প্রদান করে। আজ হাজার হাজার বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই নিম্নোক্ত দাবী সমূহ ।
১। ২০০৯ সালে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারী বিডিআর পিলখানা সংঘঠিত সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ডকে তথা কথিত বিদ্রোহ সংঙ্গায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হিসাবে আখ্যায়িত করতে হবে।
২। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালত কে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে হবে।
৩। চাকুরীচ্যুত সকল পদবীর বিডিআর সদস্যকে সুযোগ সুবিধা সহ চাকুরীতে পূণর্বহাল করতে হবে।
৪। হত্যাকান্ড মামলার মহামান্য হাইকোর্টের বিচারকগনের রায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পিলখানার হত্যাকান্ডের ঘটনার মোটিভ উদ্ধার ও কুশিলবদের সনাক্তকল্পে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
৫। পিলখানা হত্যাকান্ডে শাহাদৎ বরনকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন কে শহীদের মর্যাদা দিতে হবে।
৬। ২৫ ফেব্রুয়ারী দিনটিকে পিলখানার ট্র্যাজেডি দিবস হিসাবে ঘোষনা করতে হবে।
৭। পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনা পরবর্তী তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তা হেফাজতে যে সকল নিরীহ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনপূর্বক হত্যা করা হয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ পূর্বক মৃত সকল পদবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পূর্নবার্সন করতে হবে।
৮। তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিযুক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত পূর্বক বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৯। বিশেষ আদালত কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষকারী বিডিআর সদস্যগণ যারা প্রহসনের বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ কারা অন্তরীন আছে, তাদের কে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জামিন অথবা মামলা হতে অব্যহতি পূর্বক মুক্ত করতে হবে।