নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অদ্য ১৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং রোজ রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কাজী মোখলেছুর রহমান এর সভাপতিত্বে শিক্ষক সমাবেশ, মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূইয়া,চেয়ারম্যান, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট, নুরুল হক নূর (ভিপি), সভাপতি, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ, মাওঃ এ বি এম জাকারিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, মোঃ জাকির
হোসেন, মহাসচিব, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট, মাওলানা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সভাপতি,বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক সমিতি। আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওঃ মোঃ তাজুল ইসলাম ফরাজী, মাওঃ মোঃ জহুরুল আলম, মাওঃ মোহাম্মদ আল-আমিন, মাওঃ সামছুল হক আনছারী, মাওঃ সামছুল আলম,মোঃ নুরুজ্জামান, মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ রেজাউল, মোঃ নূরুল ইসলাম, মোঃ নাজমুল আলম,মোঃ রিয়াজ হাওলাদার প্রমুখ। বক্তারা বলেন-১৯৭৮ অডিনেন্স ১৭ (২) ধারা মোতাবেক মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের শর্ত
পূরণ সাপেক্ষে রেজিঃ প্রাপ্ত হয়। রেজিষ্ট্রেশন হওয়ার পর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৯৯৪ ইং সনে একই পরিপত্রে রেজিষ্ট্রার বেসরকারী প্রাইমারী ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিগত সরকারের সময়ে ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি হতে হতে ২০১৩ সনে ৯ জানুয়ারী বিগত সরকার ২৬১৯৩টি বেসরকারী প্রাইমারী স্কুল জাতীয়করণ করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় সকাল ০৯ থেকে বিকাল ০৫ টা পর্যন্ত সরকারী একই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় ইবতেদায়ী ৫ম শ্রেণি শিক্ষার্থী অতীতে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও বর্তমানে ৫ম শ্রেণী বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়। অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ২২-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পায়। কিন্তু ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকগণ জাতীয়করণ তো দুরের কথা এমপিওভুক্ত করা হয়নি। তারপরও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা বলেন- ১৫১৯টি ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকগণ সর্বসাকুল্যে প্রধান শিক্ষক ২৫০০ টাকা, সহকারী শিক্ষক ২৩০০ টাকা ভাতা পায় বাকি রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত মাদরাসাগুলোর শিক্ষকগণ ৩৭ বছর যাবৎ বেতন ভাতা হতে বঞ্চিত। গত ৩১ শে আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখে বেতন ভাতা সহ উপবৃত্তি পূর্নবহাল রাখার দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করি এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করি। সে প্রেক্ষিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী গত ১২ অক্টোবর ২০২২ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্ধসঢ়;রাসা শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজন করেন। উক্ত বৈঠকে সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী, কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ব্যানবেইজের মহা- পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। উক্ত বৈঠকে আমরা আমাদের দাবী সমূহ উপস্থাপন করি। আমাদের দাবীর প্রেক্ষিতে সাবেক শিক্ষা মন্ত্রীমহোদয় ২ মাসের মধ্যে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা ৪ মাসের মধ্যে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন ভাতার ব্যবস্থা সহ অন্যান্য দাবী গুলো বাস্তবায়ন করার আশ^াস দেন। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য সাবেক শিক্ষা মন্ত্রীর আশ^াসের ২ বছর অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি কোনো দাবী আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
তাই আমরা নিম্নোক্ত দাবীগুলো বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন করে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হলাম। আশা করি প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় কর্মসূচী পালনের পূর্বেইদাবী সমূহ বাস্তবায়ন করবেন।
দাবীসমূহঃ
১। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষা বিষয়ক গবেষনাগার কর্তৃক স্ট্যাডি রির্পোটের আলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা সমূহ জাতীয়করণ।
২। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার নীতিমালা-২০১৮ বাস্তবায়ন করণ।
৩। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার পাঠদানের অনুমতির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করণ।
৪। রেজিষ্টেশন প্রাপ্ত কোড বিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো মাদরাসা বোর্ডের কোডের অন্তর্ভূক্ত করণ।
৫। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসায় ১ জন অফিস সহায়কের পদ সৃষ্টি করণ।
৬। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার অবকাঠামো/ভবন নির্মান করণ।
দাবী আদায় না হলে প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরবর্তীতে কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।