নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ ১৭ ই আগস্ট শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সরকারের বিচার, ব্যাংক ডাকাত দুর্নীতিবাজ লুটপাটকারীদের গ্রেফতার, সম্পদ বাজেয়াপ্ত, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা, দ্রব্যমূল্য কমানো শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অনুকূলে সমাজ গঠনের দাবিতে ৫ দলীয় বাম জোটের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়্র।
সমাবেশে ৫ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী গুন্ডা বাহিনী দিয়ে ১ হাজারের অধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে, ১০ হাজারের মতো আহত করেছে যার অনেকে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে এছাড়া অনেকেই এখনো নিখোঁজ আছে। এছাড়াও বিগত ১৬ বছর ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জোরপূর্বক জনগনকে জিম্মি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে রেখে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা গুম করেছে। ভয়ংকর আয়না ঘর টর্চার সেল বানিয়ে মানুষ কে গুম করে রেখে নির্যাতন ও হত্যা করেছে ক্রস ফায়ারের নামে বিনা বিচারে মানুষকে হত্যা করেছে যা আদিম যুগের বর্বরতাকেও হার মানায়।
নেতৃবৃন্দ বক্তব্য আরও বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে সে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ১৬ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রেখে লুটপাট দুর্নীতি করে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে আমরা সকল হত্যা গুম খুনের বিচার দাবি করছি খুনি হাসিনা সহ তার সরকারের সকলের বিচার দাবি করছি এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার ও দাবি করছি। এছাড়া পাচার কৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এবং তাদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি ভবিষ্যতে যেন কেউ স্বৈরাচার হওয়ার সাহস না পায়।
নেতৃবৃন্দ বক্তব্য আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য শ্রমজীবি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে অবিলম্বে সকল প্রকার নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে। আমরা এমন একটি সরকার ব্যবস্থা চাই যেখানে শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের স্বার্থ রক্ষা হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ৫ দলীয় বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জোটের শরীক দল বিপ্লবী কমিউনিস্ট কেন্দ্র এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিধান দাস। বক্তব্য রাখেন ৫ দলীয় বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড এম এ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি(ন্যাপ) সভাপতি মুফতি তালেবুল ইসলাম, সোশ্যালিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড শাহীন আহমেদ বাংলাদেশের সমতা পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামসুল হক সরকার, শ্রমিক নেত্রী কমরেড এলিজা রহমান ও জোটের ঢাকা মহানগর ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।