নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ ৬ আগষ্ট ২০২৪ গণফোরাম সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মোস্তফা মোহসীন মন্টু’র সভাপতিত্বে তাঁর নিজ কার্যালয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, আমরা জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলাম না তিনটা জালিয়াতির নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা জনগণের ক্ষমতা দখল করেছে, ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে অপকর্ম করেছে শেখ হাসিনা সরকার গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, বিরোধী মতের উপর চরম দমন-পীড়ন তান্ডব চালিয়ে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে। নারকীয় পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে দীর্ঘ ১৫ বছর দেশের জনগণের বুকের উপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে ছিল ছাত্র জনতার প্রতিরোধে এই স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের কবল থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হলো। ছাত্র জনতার এই বিজয় গণতন্ত্রের বিজয় কিন্তু একদল দুষ্কৃতিকারী ছাত্র জনতার বিজয়ে কালিমা লেপার ষড়যন্ত্র করছে। দুষ্কৃতিকারীদের বর্বরতা হীনস্বার্থ ঠেকাতে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ী ও উপাসনালয়ে অগ্নিকান্ড, নানা যায়গায় চাঁদাবাজি সহ সকল লুটতরাজ বন্ধে বিশেষভাবে ছাত্র সমাজ ও জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। নাশকতা সৃষ্টি করা অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের কর্মকান্ড তাই ছাত্র জনতার বিজয় করা এই দেশে কোন ধরনের নাশকতাকারী স্থান পাবে না। অরাজকতা সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রক্তের বিনিময়ে কষ্টার্জিত সফলতাকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে, অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে নিভৃত করতে হবে। দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি। ছাত্র জনতার পাশাপাশি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শামিল সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। ছাত্র জনতার বিজয় অক্ষুন্ন রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
দলের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, সারা পৃথিবীর মানুষ অবাক বিষ্ময়ে দেখেছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্র জনতার বীরত্ব। সঠিক হিসাব না পেলেও ধারণা করা হচ্ছে প্রায় হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার। হাজার হাজার মারাত্মক আহত হয়েছে, বিকলাঙ্গ করা হয়েছে, চোখ হারিয়েছে। দশ হাজারের বেশি মানুষ গ্রেপ্তার করেছে, বাড়ী ঘরে হামলা হয়েছে, অপারেশন সার্চ লাইটের নামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। গণফোরাম বাংলাদেশের জনগণের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবাষ্প ছড়ানো হচ্ছে সে ব্যাপারে আমাদের ভূমিকা রাখা এবং জনগণের কাছে সহায়তায় এগিয়ে যাওয়া এবং সুস্থ ধারার রাজনীতির পথ সুগম হয়েছে। ছাত্র জনতার বিজয় ধারা অব্যাহত রাখতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে সর্বস্তরের জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি- অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য- অ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার, আব্দুল হাসিব চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা হাসান, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিয়া, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, শ্রম সম্পাদক মোশারফ হোসেন তালুকদার, ছাত্র সম্পাদক সানজিদ রহমান শুভ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এম.এ. কাদের মার্শাল, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ জাহান সুমন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামাল উদ্দিন সুমন, নিজাম উদ্দিন, মাহফুজুর রহমান মাসুম, আমিনুল ইসলাম, নূরনবী, কবিরুজ্জামান, জান্নাতুল মাওয়া, ইমাম হোসেন, এশেক আলী আশিক সহ কেন্দ্রীয় ও মাহনগর নেতৃবৃন্দ।