রিপোর্টার মারিয়াঃ কে এই মাইদুল? বিয়ে করা যার নেশা ও পেশা।বিয়ে খেতো জাকিরকে ছাড়িয়ে ১৯ থেকে ২১ শে পা রেখেছে।প্রতারক এই মাইদুল বিয়ের নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া তার পেশা। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় একের পর এক বিয়ে করে সেই পরিবারের লোকদের বিভিন্ন কায়দায় জিম্বি করে বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে সর্ব শান্ত করছে পরিবারগুলোকে।মাইদুল লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মিলনবাজার কুমরিরহাট খারুভাজ গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।
বড় ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাইদুল ইসলাম নিজেকে অবিবাহিত ও বড় মাপের ব্যবসায়ি হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক বিবাহ করে সেই পরিবার গুলোর সাথে প্রতারণা করে আসছে। শুধু প্রতারণা নয় সু কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে বিশাল অংকের টাকা।
মাইদুল প্রথম বিয়ে করেন আদিতমারী উপজেলার কুমরিরহাট খারুভাজ এলাকার খাদিজা বেগম কে,সেখানে ঘর সংসার করেন কিছুদিন। সংসার চলাকালীন সময়ে ব্যবসার কথা বলে স্ত্রী খাদিজাকে
যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করতে থাকেন,নির্যাতন সইতে না পেরে খাদিজার বাবা জমি বিক্রি করে যৌতুকের টাকা দেন লম্পট মাইদুলকে। সেই টাকা হাতিয়ে নিয়ে সু কৌশলে পালিয়ে যান ঢাকায়, খাদিজা উপায়ন্তর না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়ে নারীশিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন,খাদিজা সন্তানদের নিয়ে ঘুরছে এখন আদালত প্রাঙ্গণে।
আবারও নিজেকে অবিবাহিত ও বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে মাইদুল ইসলাম ঢাকার গাজীপুরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন, শরিফা কে মাইদুল এর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পূর্বে ধর্ম পরিবর্তন করে মাইদুল কে বিয়ে করেন। সেখান সন্তান আছে সেই সন্তান মাদ্রাসায় হেফজ শাখায় লেখাপড়া করে। সেখান থেকেও ব্যবসার কথা বলে থেকে যৌতুকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কেটে পড়েন। নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানা তল্লা এলাকায়। ওই এলাকায় কিছুদিন থাকার পর সেখানে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তৃতীয় বিবাহ করেন ফতুল্লা তল্লা এলাকার, আকলিমা বেগমকে।
আকলিমা বেগম এখন তিন সন্তানের জননী।
আকলিমা বেগমের স্বয়-সম্বল কেরে নিয়ে মাইদুল পাড়ি জমায় নিজ এলাকা লালমনিরহাটে। এলাকায় এসে আবারও মিথ্যা পরিচয়ে চতুর্থ বিয়ে করেন সদর উপজেলার তালুক খোটামারা মৌজা বালাটারি আদর্শ কলোনিতে। কলোনির আনসার আলীর মেয়ে
তানজিম আক্তার সুখীকে তার কুনজরে বন্দী করেন। তানজিমা আক্তার সুখী কে দেখায় রঙিন স্বপ্ন বাড়ি গাড়ি অনেক কিছু। তানজিমা আক্তার সুখী কে সহজে পাবার জন্য বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল ছবি ভিডিও ধারণ করে তাকে বাধ্য করায় বিয়ে করতে এ বিষয়ে আরো সহযোগিতা নেবার জন্য তার বড় বোন রুমি ও বোনজামাই জাহাঙ্গীরকে বিভিন্ন প্লবন দেখিয়ে হাত করে নেয়, তারাও টাকা পয়সা খেয়ে বিভিন্ন প্লবনে লোভ লালসার দিকে ঠেলে দেন সুখী কে এবং বাধ্য করান মাইদুল এর সাথে বিয়ে বসতে। সেই বিয়ে জাহাঙ্গীর রুমির সহযোগিতায় ও তার বাবা মার সহযোগিতায় বাড়ি হয়েছে তিন কিলোমিটার দূরে, স্টুডিয়াম রোডে মকবুল হোসেনের পুত্র বাবলুর বাড়িতে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের সময় মাইদুল কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই প্রথম তানজিমা আক্তার সুখী কে বিয়ে করতেছেন দুজন দুজনকে পছন্দ করে মর্মে উপলব্ধিতা দেখান,বিয়ের পরে ভাড়া বাড়ীতে ওঠে লম্পট নারী লোভী মাইদুল।
সুখীকে চতুর্থ বিয়ে করে সংসার করতে থাকে মাইদুল,পূর্বের অভিজ্ঞতা ও সূকৌশল ব্যবহার করে সুখীর পরিবারের সাথে সু-সম্পর্ক তৈরি করে, বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই লম্পট, নারী লোভী মাইদুলের কু-নজর পড়ে সুখীর আপন ছোট বোন তাইয়্যেবা আক্তার হিয়ার উপরে। সম্পর্কের জেরে হিয়াকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিজের ভাড়া বাড়িতে তাইয়্যেবা আক্তার হিয়াকে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিনের পর দিন অমানুবিক নির্যাতন চালায়।
এক সময় তানজিমা আক্তার সুখী কেও এই ঘুমের ট্যাবলেট বিভিন্ন খাবারের মধ্য মিশিয়ে দেয় যেন সে কিছু টের না পায় , এরপরে ছোট বোন তাইয়্যেবার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন এবং অশ্লীল ভিডিও ধারন করেন। অশ্লিল ভিডিও ধারনের পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় ভীতি দেখিয়ে সন্তান তুল্য শিশু অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তাইয়্যেবা আক্তার হিয়া মনিকে ও তার পিতা হামিদ ও জাহাঙ্গীর রুমির সহযোগিতায় তাকেও ৫ম স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করেন লম্পট মাইদুল। এভাবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে একের পর এক বিবাহের নামে প্রতারণা ও বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সর্বশান্ত করছেন বিভিন্ন পরিবারকে।
মাইদুলের স্ত্রীরা বলেন, আমাদের সাথে ও আমাদের পরিবারের সাথে এমনকি আমাদের সন্তানদের সাথে সে প্রতারণা করেছে, বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিবাহের নামে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভেগে গেছে। আমরা তার কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বিস্তারিত আসছে আগামী পর্বে