নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১২ জুন ২০২৪ ইং, বুধবার বিকাল ৩.০০ টায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির, প্রতিনিধি সভা ও বিশেষ কাউন্সিল নগরীর একটি হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত কাউন্সিলরদের ভোটে মোঃ শামসুদ্দিন পারভেজ চেয়ারম্যান, মুহাম্মদ আবু হানিফ মহাসচিব নির্বাচিত হন। বিশেষ মহলের প্রত্যক্ষ মদদে এবং প্রশাসনের বাধায় প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হল এবং পরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনের বুকিং বাতিল করা হয়।
প্রতিনিধি সভা ও বিশেষ কাউন্সিলে সারাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধি ও কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন। গত ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা ২০(ঙ) অনুচ্ছেদ -১ এবং ধারা ৬ (ঙ) নং ধারা মোতাবেক সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, তৎকালীন মহাসচিব ও অতিরিক্ত মহাসচিব যথাক্রমে আব্দুল আউয়াল মামুন এবং আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব এর আজীবন বহিস্কার অনুমোদন করে।
নির্বাচিত হয়ে মহাসচিব জনাব আবু হানিফ বলেন, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিলাম তা অব্যাহত আছে। ইতিহাস সাক্ষী আমরা অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করি নাই এবং টাকার বিনিময়ে আমরা কারো কাছে বিক্রিও হই নাই। এই অপশক্তি ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া গনতন্ত্র ও আইনের শাসন ফেরৎ আসবে না। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাব ও ডিআরইউ কর্তৃপক্ষের অসহায়ত্ববোধের তীব্র নিন্দা জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব শামসুদ্দিন পারভেজ বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি, অথচ আমাদের ঘরেই যে বিশ্বাসঘাতক ছিল তা আমাদের বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়। আমরা দলীয় ভাবে এবং জোটগত ভাবে সারা দেশে সফর করে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেছি। দলের শুরু থেকেই আমরা কল্যাণ পার্টির রাজনীতির সাথে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত, সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি’র নেতৃত্বে এবং জোট হিসেবে ১২ দলীয় জোট গঠনের সময় থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা কল্যাণ পার্টি ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
সারাদেশ থেকে আগত উপস্থিত কাউন্সিলরগণ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ১২১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠনের দায়িত্ব প্রদান করেন।