সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেছেন, ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং যাত্রী, চালক, শ্রমিক ও গাড়ীর মালিকদের সদিচ্ছায় ঈদ যাত্রায় নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, যাত্রী সাধারণের নানা ধরণের ভোগান্তি লাঘবে এবং যানজট নিরসনে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ কাজ করছে। এবছরের ঈদযাত্রা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও আনন্দময় হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। অননুমোদিত যানবাহনে ঝুকি নিয়ে যাতায়াত না করার জন্যে তিনি যাত্রী সাধারণের প্রতি আহ্বান জানান। যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কেউ যেন যাতায়াত না করে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। ঈদ যাত্রা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্যে পুলিশ বিভাগসহ সকলকে সচেষ্ট থাকার জন্যে তিনি আহ্বান জানান।
সড়ক পথে যাত্রী সাধারণের ঈদ যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ১৪ জুন শুক্রবার বিকেলে ঢাকার বনানীস্থ বিআরটিএ ভবনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ১৫ জুন রবিবার সকাল ৯টা থেকে ঈদ পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহ ও সংশ্লিষ্টদের সড়কে ও মহাসড়কে ব্যানার, লিফলেটসহ প্রয়োজনীয় প্রচারপত্রসহ থাকার জন্যে আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, সড়কে যানজট ও ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। ঢাকাসহ বড় বড় শহরের প্রবেশ পথে ও মহাসড়কের পাশে পশুর হাট-বাজার বসলে ঐ এলাকায় যানজট তৈরী হয় এবং এই যানজটের কারণে পরবর্তীতে চালক সময় সমন্বয় করার জন্যে বেপরোয়াভাবে গাড়ী চালায়। এটি সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, দুর্ঘটনারোধে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরীকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্যে ভ্রাম্যমান আদালত ও আদালতের কার্যক্রম বাড়াতে হবে। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া যাতে আদায় না করতে পারে এ লক্ষ্যে প্রত্যেকটি বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন ও নৌ-বন্দরে সার্বক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। ঈদ পরবর্তী এক সপ্তাহ সড়কে ও টার্মিনালসমূহে পুলিশ বিভাগ, ভ্রাম্যমান আদালত ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যক্রম আরো অধিক জোরদার করতে হবে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল, বিআরটিএ’র পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহাবুব-ই-রব্বানী, ব্রাক এর রোড সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম খালিদ মাহমুদ, আহছানিয়া মিশনের শারমিন ইসলাম প্রমুখ।