নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সরকারি প্রশাসনে নীতি বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক যেনো না থাকে সেই নীলনকশার কৌশলি পদক্ষেপ মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বৈষম্য নয় বরং সাম্য ও ন্যায়ের বাস্তবায়ন। মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য গুজব প্রচার করছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র যা আদালত অবমাননা ও ফৌজদারি অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন মামলার রিট দায়েরকারি অহিদুল ইসলাম তুষার!
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, অপপ্রচার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়!
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো জানানো হয়, কোটা প্রথা কোনো বৈষম্য নয় বরং বৈষম্য দূরীভূত করে ন্যায্যতা ও সাম্য সৃষ্টি করে। যা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত!
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত যে শাসনকাল সে সময় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানে নিগৃহীত ও বঞ্চিত হয়েছে রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্র থেকে। যা তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবেও মেধা থাকা স্বত্ত্বেও পিছিয়ে রেখেছে। ৯৬ থেকে ২০০১ সালে সরকারের আন্তরিকতা স্বত্বেও প্রশাসনে স্বাধীনতা বিরোধীদের আধিক্য মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সুবিধা প্রাপ্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর সে কারণেই মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বিতীয় প্রজন্ম সেই কোটা সুবিধার বিস্তৃতি যৌক্তিক!
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষার বলেন, কোটা প্রথা কখনই বৈষম্যময় নয়। আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত ভুল ধারণা আছে যে, কোটা প্রথায় যারা চাকরি নেয় তাদের কোনো প্রকার মেধা যাচাই ছাড়া চাকরি দেওয়া হয়, এই ধারণাটি ভুল। কোটায় যারা চাকরি নেন তাদের অন্য সব চাকরির প্রার্থীর মত মেধা যাচাই করা হয়। অন্য কোনো কোটা থাকলে সমস্যা নেই, শুধু সমস্যা মুক্তিযুদ্ধ কোটায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে এই সব অপপ্রচাররে বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করবে! সম্মেলনে আরো উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন, অনলাইন একটিভিস্ট বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়, নাসির আলামিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, তুষার কান্তি দাশ, সহ-সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, মাইদুল ইসলাম পলক, আইনজীবী, মাহমুদুল ইসলাম রনি, সহ-সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, মনির হোসেন,আনিছুর রহমান,গোলাম কিবরিয়া,অমর শুভ এবং হাসান আহমেদ, সংবাদকর্মী ও একটিভিস্ট।