ইকবাল হোসেনঃ বৃহস্পতিবার ৩০মে জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম মিলনায়তনে, সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়দের উদ্যোগে “ঘোল অমানিশা দেশের ফুটবল শিরোনামে” দুর্নীতিবাজ ও ব্যর্থ বাফুফে এর কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সাবেক ফুটবলাররা এই দাবি জানান।
সাবেক ফুটবলাররা বলেন ,দেশের ফুটবলের স্বার্থে আমাদের দাবী দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিপক্ষে তদন্ত ও শাস্তি। ব্যক্তি আইনের উর্ধে নয়। বাফুফের বিপক্ষে হস্তক্ষেপ ও তাদের কর্মকর্তাদের বিপক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া এক বিষয় নয়। ব্যত্তি অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা এমন কোন ধারা ফিফা আইনে নেই। তাই যাদের বিরুদ্ধে ফিফা দন্ড দিয়েছে এবং যাদের নাম এসেছে তাদের বিপক্ষে তদন্ত ও আইনী ব্যবস্থা নিতে কোন বাঁধা নেই।
সাবেক ফুটবলাররা সরকার না ফিফারও দৃষ্টি আকর্ষন করেন।(১) ১৬ বছরেও কোন ফুটবল উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যর্থ সালাহউদ্দীন বা. ফুকে ২) জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ফুটবল উন্নয়নে নেই কোন পরিকল্পনা ৩). সারাদেশে স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রচলনে ব্যর্থতা ৪). যথাযথ অর্থে ফুটবল একাডেমি চালু কররে ব্যর্থতা, নামকাওয়াস্তে চলছে এলিট একাডেমি ৫). সিলেটে সরকারি সাহায্যে একাডেমি চালুর ১১ মাস পরে বন্ধ, ফিফার ৫ লাখ ডলার উধাও ৬). বাফুফেতে নেই কোন দীর্ঘমেয়াদী পৃষ্ঠপোষক, স্পনসর আর ফিরে আসেনা ৭). ফিফার অর্থ নয়-ছয় করার দায়ে সাধারন সম্পাদক ও কর্মকর্তারা নিষিদ্ধ, কিন্তু আসল নাটের গুরু কে ৮). সরকার কর্তৃত প্রদত্ত ১০ কোটি টাকার সঠিক হিসেব দিতে ব্যর্থ ১০). বিপিএল ছাড়া অন্য লীগগুলোকে অনিয়মিত আয়োজন ১১). মহিলা ফুটবলকে সামনে রেখে সাফল্যের ঢেকুর তোলা, অথছ বিশ্বব্যাপী মহিলা ফুটবলের সাফল্যকে দেশের ফুটবলের মানদন্ড ধরা হয়না ১২). ফিফা ব্যাংকিয়ে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া, বর্তমান রাঙ্কিং ১৮৪ সর্বনিম্ন ১৯৭ সালাহউদ্দিনের আমলেই অর্জিত,
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার আরমান মিয়া, কাজী আনোয়ার, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, মো. আবু ইউসূফ, আব্দুল গাফ্ফার, শামসুল আলম মঞ্জু, শামসুল আরেফিন টুটুল সহ অন্যান্য সাবেক ফুটবলার বৃন্দ।