মঞ্জুর: ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান, বিনা সুদে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ প্রদান, চাকরিতে প্রবেশ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন মহাজোট। শনিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি উত্থাপন করেন সংগঠনটির নেতারা। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বৃহত্তর জাতীয় ভিত্তিক সংগঠনের সমন্বয় গঠিত এই প্ল্যাটফর্মটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন মহাজোটের সদস্য সচিব মো. আমজাদ আলী খান। সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ৯ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বর্তমান প্রথম গ্রেড থেকে ২০ গ্রেড এর ব্যবধান ৬৯ হাজার ৭৫০ টাকা। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ২০০৯ সালে ৭ম জাতীয় পে-স্কেল প্রদান করা হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ৮ম পে-স্কেল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদান করা হয়। বর্তমান সময়ে বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিটি জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পরিবহন ভাড়া, বাড়িভাড়াসহ পারিবারিক ব্যয় বৃদ্ধির দরুন কর্মচারীদের ২০২০ সালে ৯, জাতীয় পে-স্কেল অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে উত্থাপিত সাতদফা দাবিগুলো হলো—
১. পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্বহাল। ২. ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা অবিলম্বে দিতে হবে এবং পে-কমিশন কমিটিতে কর্মচারী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত। ৩. সরকারি কর্মচারীদের পূর্বের ন্যায় ৩টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন সমতাকরণ পুনর্বহাল। ৪.এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি চালুসহ সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাইরে সব সরকারি কর্মচারীদের পদ-পদবি পরিবর্তন করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগসহ বিভিন্ন দফতরে প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধি দ্রুত বাস্তবায়ন। ৫. আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল ও বিভিন্ন সরকারি দফতর-প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের হয়রানিমূলক বদলি আদেশ, অত্যাচার নির্যাতনমূলক ও মিথ্যা মামলা বন্ধ, প্রত্যাহার। উন্নয়ন খাতে কর্মরত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর। প্রার্থী প্রথা চালুসহ সকল দফতরের কর্মরত মাস্টার রোল, কন্টিজেন্স ও ওয়ার্কচার্জ কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর। ৬. ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের ন্যায় প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা গৃহ নির্মাণ ঋণ দিতে হবে। ৭. চাকরিতে প্রবেশ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ন্যায় সকল দফতরে পোষ্য কোটা চালু করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, আহবায়ক, মোঃ মিরাজুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন, আবুল হাসেম খান খাদেম সভাপতি , ডাক বিভাগ, মোঃ মতিউর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক, সভাপতি, সরকারি কর্মচারী সমিতি সংঘতি পরিষদ, মোঃ ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, এইচ.এম মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, গণপূর্ত প্রমুখ।