ইকবাল হোসেনঃ ফাঁরাক্কা সহ ৫৪ টি নদীর উজানের বাধ ভেঙ্গে ফেলার দাবি সম্মেলিত জাতীয় ৬ দফা বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকারের প্রতি উদাত্ত আহব্বান জানান তিনি।
ঢাকা:শুক্রবার ২৪ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পাকমন পিপলস পার্টির উদ্যোগে এক সমাবেশে, দলের সভাপতি দার্শনিক মোঃ জাহিদুল হক (জাহেদ) এই দাবি জানান।
পাকমন পিপলস পার্টির সভাপতি দার্শনিক মোঃ জাহিদুল হক বলেন ,ফাঁরাক্কা সহ ৫৪ টি নদীর উজানের বাধ ভেঙ্গে ফেলার দাবি সম্মেলিত জাতীয় ৬ দফা বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকারের প্রতি উদাত্ত আহব্বান জানান। তিনি ভারত সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ভারত সরকার উক্ত বাধগুলো ভেঙ্গে ফেলতে ব্যর্থ হলে এবং নির্ধারিত ক্ষতি পূরন দিতে ব্যর্থ হলে, দিল্লিকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিতে হবে। তিনি উক্ত বাধ গুলোর প্রভাবে বৈশিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উক্ত নদীসমূহের শাখা নদীসহ ৫২০ টি নদী ইতিমধ্যে শুকিয়ে গিয়েছে। এবং স্থায়ীভাবেন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে হিমালয় পর্বত গলে যাচ্ছে। কমবেশী প্রতি বৎসর ১ মিটার হিমালয় পর্বতের উচ্চতা কমে যাচ্ছে। হিমালয় পর্বতের উচ্চতা কিকমে গেলে, একদিন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।
দলের মহাসচিব খন্দকার আশরাফ সিদ্দিকী বলে, বিজ্ঞান- ভিত্তিক, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ী’ পাকমন’ নামটি ‘পাকমন’ জাতির জন্য অত্যন্ত প্রাণপ্রিয়। পদ্মা নদীর প্রথম অক্ষর ‘প’ কর্ণফুলি নদীর ‘ক’মেঘনা নদীর ‘ম’ এবং যমুনা নদীর শেষের অক্ষর ‘ন’ নিয়ে ‘পাকমন’ গঠিত হয়েছে। পাকমন অর্থ পবিত্র মন [বিঃ দ্রঃ প-এর আকার বিভক্তি ব্যাকরণরীতি অনুযায়ী নেওয়া হইয়াছে।।
কর্ণফুলি, মেঘনা, যমুনা। পাকমন অববাহিকার গণ- মানুষের জীবন মরণের গুরুত্ব বহন কবে। বিগত ১৯৮৭/৮৮/৯৮ সালের বন্যায়, জাতি হাড়ে হাড়ে এর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে। তাই ‘পাকমন’ নামটি জাতির কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাণপ্রিয়। তাই ফাঁরাক্কা সহ ৫৪ টি নদীর উজানের বাধ ভেঙ্গে ফেলার দাবি সম্মেলিত জাতীয় ৬ দফা বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকারের প্রতি উদাত্ত আহব্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, কর্ন, মেঘনা, যমুনা। পাকমন অববাহিকার প্রতিটি বর্ণ ও গোত্র-বাঙালী, বিহারী, চাকমা, মগ, মুরং, গুর্খা, নেপালী, ভুটানী ধনিপুরী, ত্রিপুরা, টেপরা, হাজং, সাঁওতালসহ আমরা সবাই পাকমন।
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনে ৬ দফার আন্দোলনে সমুহ :-
(১). ফাঁরাকাসহ ৫৪টি নদীর উজানের বাঁধ ভারত সরকারকে ভেঙ্গে ফেলতে হবে। (উল্লেখ্য, ২৪মে ৯৬ থেকে পরবর্তীতে ভারত কর্তৃক আরো বাঁধ নির্মাণ হলে তা ভেঙ্গে ফেলতে হবে।)
(২),গত ২১ বৎসরে উক্ত বাঁধ সমূহের কারণে ক্ষতিপূরণ স্বরূপ ৭৪ হাজার কোটি টাকা ভারত সরকারকে প্রদান করতে হবে। (উল্লেখ্য, ২৪শে মে ৯৬ থেকে পরবর্তী প্রতি বৎসরের জন্য দশ হাজার কোটি টাকা অংক যোগ হতে থাকবে)
(৩.) ঢাকায়। ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করে দিতে হবে এবং সকল প্রকার কূটনৈতিক তৎপরতা ছিন্ন করতে হবে।
(৪). পদ্মা, কর্ণ, মেঘনা ও যমুনা। ‘পাকমন’ ইউনিয়ন (UPSR) অঞ্চল সমূহ: বাংলা বিহার, উড়িষ্যা, মেঘালয়, ত্রিপুরা, আসাম, নেপাল, ভুটান, সিকিম, অরুনাঞ্চল, ন্যাগাল্যান্ড, মেজোরাম প্রভৃতি অঞ্চল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী অপসারণ করে UPSR কে পূর্ণ স্বীকৃতি দিতে হবে।
(৫). বঙ্গভূমি আন্দোলন অপকর্ম তাৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
(৬.) শান্তি বাহিনীর অপকর্ম তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। সকল প্রকার ট্রানজিট চুক্তি বাতিল করতে হবে।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি দার্শনিক মোঃ জাহিদুল হক (জাহেদ )আরো বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব খন্দকার আশরাফ সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি ডঃ ফহিমা সুলতানা, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবদুর রহমান, দলের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোঃ আনোয়ার হোসেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং ঢাকা দক্ষিনের সভাপতি মোঃ রানা ইসলাম, দলের ঢাকা দক্ষিনের সাধারন সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং ঢাকা উত্তরার সভাপতি মোঃ মুকুল হোসেন, পাকমন ওলামা দলের বিশিষ্ঠ মাওলানা সভাপতি খন্দকার মোঃ নুরুল আমিন, পাকমন ওলামা দলের সাধারন সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান মাসুম, পাকমন শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ ফেরদৌস খান, পাকমন শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মোঃ সাকিব খান এবং পাকমন মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোছাঃ সেলিনা ইসলাম, প্রমুখ।