মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, “শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলকে কাজে লাগিয়ে নিজ, পরিবার, দেশ তথা বিশ্বমানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। দেশের মাদরাসা শিক্ষা অনেক আধুনিক হয়েছে। মেডিক্যাল, প্রকৌশলসহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীরা ভালো করছেন। তাঁরা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ তথা সচিব হচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হচ্ছেন। এটি আমাদের জন্য আশাপ্রদ ও উৎসাহব্যাঞ্জক সংবাদ। আজ একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। উচ্চশিক্ষিত মানুষ প্রতিটি গ্রামে রয়েছে। পক্ষান্তরে সৎ ও ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন। তাদের মাঝে একটা হতাশা কাজ করছে। শিক্ষাব্যবস্থায় জাগতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের সমন্বয় সেই হতাশা দূর করতে পারে।” ২১ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১১ টায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার এড়ালিয়া এলাকার ইমাম আহমদ রেযা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলে
এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বি ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম এর সভাপতিত্বে ও মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন নিজামপুর দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা কাজী সাইফুল মোস্তফা, শহরের গাউছিয়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আশরাফুল ওয়াদুদ চোধুরী, মাওলানা আজিজুল ইসলাম খান, কৃষি কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ খান, মাওলানা মোহাম্মদ শামসুল হক, মুফতি কামরুজ্জামান, মুফতি কাজী ফজলুল হক, মোহাম্মদ ছানু মিয়া, মোহাম্মদ আবু নাছের, আয়েশা আক্তার মদিনা, লিলিমা আক্তার, নূরুন্নেছা জান্নাত, প্রমূখ। কৃতি শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আব্দুল আলিম।

