রুপসীবাংলা৭১ আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় চার বছর ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ চললেও কেবল চলতি বছরেই ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী প্রায় পাঁচ লাখ সেনা হারিয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর আরটির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলৌসোভ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বোর্ড মিটিংয়ে এ দাবি করেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ওই বোর্ড মিটিংয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপস্থিত ছিলেন।
বোর্ড সভায় বক্তব্য রাখার সময় বেলোসভ বলেন, “২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে প্রায় ৫ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এত বিপুল ক্ষতির কারণে নিকট ভবিষ্যতে কিয়েভের পক্ষে বাহিনী পুনর্গঠন করা কঠিন হবে। কারণ এই প্রাণহানির ফলে দেশটির বেসামরিক জনগণ সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানে আগ্রহ হারাচ্ছে।”
বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো দাবি করেন, বিপুলসংখ্যক সেনা হারানোর পাশাপাশি চলতি বছর ১ লাখ ৩ হাজারেরও বেশি সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫০০ ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান রয়েছে- যেগুলো সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে দিয়েছিল পশ্চিমা বিশ্ব।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করা এবং ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কিয়েভের তদবিরকে কেন্দ্র করে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
এই যুদ্ধ বাঁধার অল্প কিছুদিনের মধ্যে ডিক্রি জারি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সেই ডিক্রিতে ইউক্রেনের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যুদ্ধের শুরুর দিকে বেসামরিকদের জন্য ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগদানের বয়স ছিল ২৭ বছর। গত বছর তা ২৫ করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও জানায়নি ইউক্রেন।
রুপসীবাংলা৭১/এআর

