নিজস্ব প্রতিনিধি :দল নিবন্ধন না দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করার ঘোষনা দিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)। আজ বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ সকাল ১১ টায় পার্টির তোপখানা রোডস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি(এম) কে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন না দেওয়া এবং এমপি প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা করার প্রতিবাদে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কটের ঘোষনা দেন এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড এম এ সামাদ, লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি(মার্কসবাদী) নির্বাচন কমিশনের সকল শর্ত পুরন করেছে তাদের চাহিদা মোতাবেক প্রায় ৪৭ হাজার পেজ কাগজ জমা দিয়েছেন এক মিনি ট্রাক-ডকুমেন্টস তার পরে আর ও দুইবার নির্বাচন চিঠি দিয়ে আর কিছু ডকুমেন্টস চায় আমরা সেগুলোও জমা দিয়েছি। ১৪৭ টি রাজনৈতিক দলে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনবার তদন্তের পর নির্বাচন কমিশন সংবাদমাধ্যম জানান মাত্র ১২ টি দল শর্ত পুরন করতে পেরেছে। পরবর্তীতে এই ১২টি দলের মধ্যে থেকে ডেসটিনির রফিকুল আমিনের আম জনতা দল ও সাবেক সেনাবাহিনীর অবঃ উচ্চ পদস্হ কর্মকর্তার দলকে নিবন্ধন দেন। এরা কেউই রাজনীতি করেন না ডেসটিনির রফিকুল আমিন আন্তর্জাতিক মানের প্রতারক দাগী আসামি। এরা কেউই কোন শর্ত পুরণ করতে পারেনি। বোঝাই যায় অনৈতিক ভাবে এদের দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। অতঃপর আম জনতা পার্টির সদস্য সচিব জনাব তারেক রহমান তার দলকে নিবন্ধন দেওয়ার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে প্রায় এক সপ্তাহ অনশন করলে তাদের দলকে নিবন্ধন দেন এবং বাসদ মার্কসবাদী কে নিবন্ধন দেন। আর কোন দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, এই নিবন্ধনের শর্ত পুরন করতে গিয়ে আমাদের ২৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। মোট ১২৩ টি অফিস নেওয়া বাবদ এবং ভাড়া ডেকোরেশন এবং নির্বাচন কমিশনের শর্ত মোতাবেক ১০০ উপজেলায় ২০০ করে সদস্যর মোট ২০ হাজার ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও ২০ হাজার সদস্য ফরম সহ কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন শর্ত পুরন করতে এই খরচ হয়েছে। অফিস গুলো এখনো ভাড়া চলছে। নির্বাচন কমিশন সঠিক ভাবে তদন্ত না করেই বলেছেন মাঠপর্যায়ে শর্ত পুরন হয়নি। আমরা সমস্ত অফিসের ছবি ভিডিও দিয়েছি। তবুও সদুত্তর পাইনি। অবশেষে হাইকোর্টে রিট করেছি। ন্যায় বিচারের আশায় কিন্তু হাইকোর্টে কতদিন পরে নিষ্পত্তি হবে আমরা জানিনা। নির্বাচন কমিশনের এই অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নির্বাচন কমিশনের এই অন্যায়য়ের বিরুদ্ধে জনগনকে সংগে নিয়ে আন্দলন সংগ্রাম করবে রাজপথে এবং নির্বাচন কমিশন কে অসহযোগিতা করবে।

