নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বার বার বাংলাদেশী নিরীহ, নিরাপরাধ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাক্কেরুল ইসলাম নবাব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তাগণ সীমান্তে বার বার মানুষ হত্যার জন্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তারা বলেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে নিজ দেশের নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদ করতেও সরকার সাহস পায় না।
তাদের ভারতীয় প্রভুকে সন্তুষ্ট না রাখলে ক্ষমতা হারানোর ভয় থাকে, কারণ বার বার ভারতের সহযোগীতায় বিনা ভোটে সরকার গঠন করে তারা ক্ষমতা আকড়ে ধরে আছে।
সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক এবং গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, এই সরকার মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের দুঃশাসনে দেশের আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন আর নিরব থাকার সময় নয়। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সীমান্ত হত্যা বন্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস, রওশন আলম, কেন্দ্রীয় নেতা আহসান হাবিব, আনোয়ার হোসেন এবং নারী নেত্রী সোনিয়া আক্তার। সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে বিজয় নগর এসে শেষ হয়।