ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, রুপসীবাংলা৭১ : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পয়ারকান্দি এলাকায় সাইনবোর্ড বিহীন অবৈধ পাইপ-জুস ও শিশুখাদ্য উৎপাদনকারী কারখানায় অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম এ অভিযান পরিচালনা করেন। শহরের পাড়াটঙ্গীস্থ মাওলানা হেলালীর বাসায় তিন মাস ধরে ‘গ্রামীণ চাটনি’ নামে মোড়ক ব্যবহার করে অনুমোদনহীন শিশুদের জন্য প্লাস্টিক পাইপে জুস উৎপাদন করছিলেন কারখানা মালিক মো. আব্দুল্লাহ মিলন। তিনি ময়মনসিংহের পাটগুদাম এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। এর আগে তার মানকোন ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারে একই ধরনের কারখানা থাকলেও প্রশাসনের ভয়ে পয়ারকান্দিতে সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন মুক্তির কয়েক বাড়ীর পরে ইসলামী বক্তা হেলালীর বাসা ভাড়া নিয়ে গোপনে এ কার্যক্রম শুরু করেন। কর্মরত কারখানা নারী শ্রমিকরা সাংবাদিকদের জানায়, তিন মাস ধরে তারা এখানে কাজ করেন; কেমিকেল মিশ্রণের কাজ মালিক মিলন নিজেই করেন। এসব উপকরণের বৈধতা সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না। আটককৃত মালিক মো. আব্দুল্লাহ মিলন দাবি করেন, “আমি অসহায়। রং বৈধভাবে কিনেছি। বিএসটিআই অনুমোদন ভলিউমে নেই, তাই নিতে পারিনি। তবে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম জানান, ভেতরে দুই নারী শ্রমিক দরজা বন্ধ অবস্থায় প্যাকেটিংয়ের কাজ করছিল। মিলন তার ভাড়া করা বাসায় অবৈধভাবে ভেজাল শিশুখাদ্য তৈরি ও বাজারজাত করছিলেন। শিশুখাদ্য মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই অভিযানে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় দোষীদের সাংবাদিকদের সহায়তায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।” অভিযান শেষে কারখানাটির মালামাল ধ্বংস করা হয় এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রুপসীবাংলা৭১/এআর

