রুপসীবাংলা৭১ প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা দুই দিনের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এই কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকার প্রবেশমুখ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারা। সড়কে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশেপাশে বসানো হয়েছে সাঁজোয়া যান। তবে, সড়কে বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপির নেতাকর্মীদের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়নি।
রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, মৌচাক, মালিবাগ, কাকরাইল ও পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।এদিন, সকাল থেকে ঢাকার সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে। সড়কে রিকশা ও অটোরিকশার দাপট থাকলেও সীমিত পরিসরে চলছে গণপরিবহন। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। এরপরেও কর্মমুখী মানুষ যাচ্ছেন কর্মস্থলে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও উপস্থিতির হার কিছুটা কম।
রোববার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে রাজধানীর তিতুমীর কলেজের গেটের সামনের রাস্তায় ও আমতলী মোড় এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের পানির ট্যাংকির সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
আজ সোমবার সকালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সামনে দায়িত্বরত রামপুরা ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. আনোয়ার হোসেন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “সকাল থেকে কোনা ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সড়কে যান চলাচল অন্য দিনগুলোর মতো স্বাভাবিক রয়েছে।”
বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, “সড়কে গণপরিবহণ চলাচল করলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম। এ জন্য মোড়ে মোড়ে বাসের অপেক্ষায় যাত্রীদের অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।”
বনশ্রীর রেডিয়েন্ট কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, গত কয়েকদিন ধরে সন্তানকে স্কুলে পাঠানো হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুলে পাঠাব।
রুপসীবাংলা৭১/এআর

