মুক্তাগাছা (ময়মমনসিংহ) প্রতিনিধি, রুপসীবাংলা৭১ : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় অটোরিকশার যাত্রী ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ৪ অটোচালক মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী ৩ ধর্ষককে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। অপর ধর্ষক পালিয়েছে। এঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও ভিকটিমের পরিবার জানায়, উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের দিতুয়া গ্রামের ১৪ বছরের এক কিশোরী ঢাকায় জিয়ের কাজ করতো। গত মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রাত সাড়ে ৯ টায় মুক্তাগাছার পদুরবাড়ী পৌছে। সেখান থেকে পায়ে হেটে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে তার প্রতিবেশি রমেন্দ্র চন্দ্র দে’র পুত্র পংকজের সাথে দেখা হয়। পংকজ তাকে বাড়ি পৌছে দেওয়ার কথা বলে অটোতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তার ৩ সহযোগী রোমান, এমরান ও আমির হোসেনকে সাথে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ওই কিশোরীকে রাতেই তিনবার স্থান পরিবর্তন করে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে স্থানীয় আন্নেছ আলীর মাছের প্রজেক্টের পরিত্যক্ত ঘরে ফেলে রেখে যায়। পরদিন বুধবার দুপুরে এলাকাবাসী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার রাতে এই ঘটনায় ধর্ষকের বিচারের জন্য এলাকায় সালিশ বসে। এ সময় সালিশি স্থলে সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়। সাংবাদিকদের দেখে সালিশিরা ধর্ষক পংকজ, রোমান ও এমরানকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
পুলিশ আসামিদের আদালতে সোপর্দ করেন এবং ভিকটিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
রুপসীবাংলা৭১/এআর

