প্রিয়ন্ত মন্ডলঃ কৃষি উপদেষ্টার ঘোষিত নতুন নীতিমালায় খুচরা সার বিক্রেতা রাখা হচ্ছে না। ৪৫ হাজার খুচরা সার বিক্রেতার দীর্ঘদিনের ব্যবসা হুমকির মুখে পড়বে, ৫কোটি কৃষকের কৃষি উৎপাদনে পড়বে প্রভাব।
দীর্ঘদিন প্রান্তিক কৃষকদের কে নগদ ও বাকীতে খুচরা সার বিক্রেতাগণ সার পৌঁছে দিতেন। বিসিআইসি অনুমোদিত খুচরা সার বিক্রেতা দীর্ঘদিন ধরে দক্ষতার সঙ্গে সার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। খুচরা এই সার বিক্রেতা এখন পর্যন্ত দেশের কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে ৩০ থেকে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে তারা সার সরবরাহ করে থাকেন।
বিদ্যমান আইনে খুচরা বিক্রেতা বাতিল হলে দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও লেনদেন চেইন ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এতে অনেক খচরা সার বিক্রেতা দেউলিয়া হয়ে পড়বেন এবং সার সরবরাহ ব্যাহত হলে কৃষকেরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
২০০৯ সালের বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী কখনো সার সংকট দেখা দেয়নি, বরং তারা সরকারি নির্ধারিত মূল্যে সময়মতো কৃষকের কাছে সার পৌঁছে দিয়েছেন। নতুন নীতিমালা প্রণয়নের আগে খুচরা বিক্রেতা ও কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত গ্রহণ না করে কোন সিদ্ধান্ত নিলে ৪৫ হাজার খুচরা সার বিক্রেতা নিঃশ্ব হয়ে পড়বে।
কারণ ৫কোটি কৃষকের কাছে তাদের কোটি কোটি টাকা পাওনা যা তারা তুলতে পারবেনা। তাই ৪৫ হাজার খুচরা সার বিক্রেতার সাথে ৫ কোটি কৃষক রক্ষায় খুচরা সার বিক্রেতা এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদন করেন এবং প্রতি জেলায় জেলায় উক্ত কর্মসূচি পালিত হয়।
কৃষিনির্ভর দেশে কৃষিকে রক্ষা ও মাঠপর্যায়ে সার সংকট ও মোকাবেলায় ৪৫ হাজার খুচরা সার বিক্রেতাকে পথে না বসানোর জন্য সরকারের সকল মহলের সুদৃষ্টি প্রার্থনা করেন। উক্ত বিষয়ে খুচর সার বিক্রেতা এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ প্রধান সমন্বয়ক মো একরামুল হক সোহেল সহ সকল নেতৃবৃন্দ।

