নিজস্ব প্রতিনিধি :অদ্য ৩ নভেম্বর, ২০২৫ (সোমবার) সকাল ১০:০০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১১ মার্চ ২০২৫ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুত সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবীতে “সম্মিলিত নন এমপিও ঐক্য পরিষদ’’ এর উদ্যোগে ২য় দিনের মতো সারা দেশ থেকে আগত নন এমপিও শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। উক্ত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত নন এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক প্রিন্সিপাল মোঃ সেলিম মিয়া।
সভাপতি সাহেবের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান সমন্বয়ক প্রিন্সিপাল মোঃ সেলিম মিয়ার প্রারম্ভিক বক্তব্যের মাধ্যমে ২য় দিনের কর্মসূচীর সুচনা হয়। আজকের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোঃ মুজিবুর রহমান, সিনিয়র নায়েবে আমীর, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সেক্রেটারী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বিগত পবিত্র রমজান মাসে এই নন এমপিও শিক্ষকগণ এমপিও’র দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ১৭ দিনের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। তিনি ঐ সময় মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব মহোদয়ের সাথে এমপিওভুক্তির সফল আলোচনার কথা উল্লেখ করেন। সেই সময় মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয় এমপিওভুক্তির দাবী মেনে নেন এবং এমপিওভুক্তির অঙ্গীকার প্রদান করেন। ফলে আন্দোলনরত নন এমপিও শিক্ষকগণ সরকারের অঙ্গীকারে বিশ^াস করে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে প্রতিষ্ঠানে যথারীতি দায়িত্ব পালন করেন। লাগাতার অবস্থান কর্মসূচীতে তিনি সরকারকে এমপিও নীতিমালা ও পরিপত্রের অসম খেলা বন্ধ করে আজই সকল নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করণের জন্য সরকারকে উদ্ধাত্ত আহবান জানান। নচেৎ এ আন্দোলন থেকে কঠোর কর্মসূচী দিয়ে শিক্ষকরা তাদের এমপিওভুক্তির দাবী আদায় করে ছাড়বে ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো বলেন আমরা তাদের দাবীর প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন নন এমপিও শিক্ষকদের দাবীটি ন্যায্য। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বিগত বিএনপি জামায়াত আমলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিক বৈষম্য করে এমপিও করে নাই। তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অনতিবিলম্বে এই নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার আহ্বান জানান। অন্যথায় আন্দোলনরত শিক্ষকবৃন্দ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের দাবী আদায় করবে এবং এই ন্যায্য দাবী বাস্তবায়নে শিক্ষকদের সাথে থাকার অঙ্গীকার করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ ড. ইকবাল হোসেন ভূইয়া, সেক্রেটারী শিক্ষা বিভাগ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ড. এ বি এম ফজলুল করিম, জেনারেল সেক্রেটারী, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন। তারা এই নন এমপিও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্তির জন্য সরকারকে আহ্বান জানান।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্তির দাবীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রায় আন্দোলনরত শিক্ষকরা বেরিকেট ভাঙ্গার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয় এবং পদযাত্রা চলকালীন অনেক শিক্ষক অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পদযাত্রা থেকে নেতৃবৃন্দ আগামীকালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিওভুক্তির মিটিং-এ নন এমপিও প্রতিষ্ঠানগুলো “স্বীকৃতি এমপিওভুক্তির মানদন্ড” অনুযায়ী পরিপত্র তৈরীর আহ্বান জানান। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচী দিয়ে এমপিওভুক্তির দাবী বাস্তবায়ন করা হবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন মূখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ দবিরুল ইসলাম, মূখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুছ সাহাদাত আজাদী, সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ মুনিমুল হক, যুগ্ম সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ ইমরান বিন সোলাইমান, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ, সমন্বয়ক সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন বাবুল, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ আফতাবুল আলম, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান, সমন্বয়ক প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর মোঃ এরশাদুল হক, সমন্বয়ক প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান বাবুল, সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুল হক মামুন, সমন্বয়ক প্রভাষক মোঃ রায়হান কবির মিঠু, সমন্বয়ক প্রভাষক মোঃ মোবারক হোসেন, সমন্বয়ক প্রভাষক মোঃ হাবিবুল্লাহ, সমন্বয়ক প্রভাষক মোঃ গোলাম মোস্তফা, সমন্বয়ক সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ এনামুল হক ও সমন্বয়ক মোঃ জাহিদ হোসেন।

