নিজস্ব প্রতিনিধিঃ “রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা—২০২০” এর মাধ্যমে নারী অধিকার নিয়ে তামাশা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে দাবি করে অবিলম্বে এই ত্রুটিপূর্ণ ও সাংঘর্ষিক বিধিমালা সংশোধন করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরজাহান আক্তার।
১৮ মার্চ ২০২৪ সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নূরজাহান আক্তার বলেন, রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০—এর (চ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘পোষ্য’ অর্থ বাংলাদেশ রেলওয়ের স্থায়ী পদে অনুন্য ২০ (বিশ) বৎসর চাকরি সম্পন্ন হইয়াছে এইরূপ কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত (জীবিত বা মৃত) কর্মচারীর সন্তান ও বিধবা স্ত্রী বুঝাইবে; অথচ সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ (ত্রিশ) বৎসর নির্ধারিত। সাধারণত একজন কর্মচারী যদি ২০ (বিশ) বৎসর চাকরি সম্পন্ন করে মৃত্যুবরণ করে তবে তার বিধবা স্ত্রীর বয়স কমপক্ষে ৩৮ (আটত্রিশ) বৎসর হয়। তাহলে সেই বিধবা স্ত্রী কিভাবে চাকরির জন্য আবেদন করবেন? এটা বিধবা নারীদের অসহায়ত্বের সাথে নির্মম তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।
তিনি আরো বলেন, যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, সেখানে কি করে এই নিয়োগ বিধিমালার মাধ্যমে রেলওয়ে কর্মচারীর বিধবা স্ত্রীদের সুকৌশলে চাকরির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির পক্ষ থেকে সংশোধনের অপেক্ষায় থাকা নিয়োগ বিধিমালায় পোষ্যর সংজ্ঞা পরির্বতন করে “পোষ্য অর্থ বাংলাদেশ রেলওয়ের স্থায়ী পদে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত (জীবিত বা মৃত) কর্মচারীর বিধবা স্ত্রী, পুত্র—কন্যা, সৎ ছেলে মেয়ে এবং নির্ভরশীল ভাই বোন ও পালক সন্তানকে বুঝাইবে” নির্ধারণের জন্য রেলমন্ত্রী ও নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন কমিটির কাছে দাবি জানাচ্ছি।